কফিল উদ্দীন আনু;
উখিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল সড়কের পাশেই অবস্থিত দুটি স্কুল। উখিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও উখিয়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। একদম মূল সড়ক ঘেষে এই স্কুল দুটি হওয়ায় প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর শত শত ছাত্র ছাত্রী এই সড়ক দিয়ে রাস্তা পারাপার করে। এই স্কুল দুটিতে পড়তে আসা ছাত্র/ ছাত্রীদের মা বাবারা সব সময় আতংকে থাকে তাদের সন্তান স্কুল শেষে সুস্থ শরীরে ঘরে ফিরতে পারবে তো!
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এই সড়কে জনসাধারণের চলাচলের চাপ যেমন বেশি তেমনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক এনজিও ও আই এনজিও সংস্থার গাড়ী চলাচলের সংখ্যা ও বেশি। এই সড়কে যান চলাচলের সংখ্যা এতো বেশি যে প্রতিদিনই দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যাম লেগে থাকতে। অতচ নেই কোন ট্রাফিক ব্যবস্থা নেই কোন স্পীড ব্রেকার। দীর্ঘ প্রায় পনেরো বছর আগে এই স্কুল দুটির মধ্যখানে একটি স্পীড ব্রেকার ছিলো যা অদৃশ্য কারনে তুলে ফেলা হলেও দূর্ঘটনা কবলিত এই এলাকার দুপাশে আজ পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা মূলক বোর্ড টাঙ্গানো তো দুরের কথা দুটি স্পীড ব্রেকার ও নির্মাণ করা হয়নি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো উখিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কতৃপক্ষ স্কুলের সামনে নো পার্কিং লেখা সাইনবোর্ড লাগালেও অধিকাংশ গাড়ীর মালিক বা ড্রাইভারেরা তা অমান্য করে প্রতিদিন এই রেষ্ট্রিকটেড এরিয়ায় অসংখ্য গাড়ী পার্কিং করে রাখে যার কারনে স্কুলের ছাত্র/ ছাত্রীরা বুঝতেই পারেনা কখন কোন পাশ দিয়ে গাড়ী আসছে। আর এতেই ঘটছে দূর্ঘটনা। গতোকাল ( ১৪ মার্চ ২০২২) স্কুল ছুটির পর বাড়ী ফেরার পথে উখিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বিদ্যুৎ চালিত ইজিবাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।
এ ব্যপারে অভিবাবক ও স্থানীয় বিজ্ঞ মহল স্কুল দুটির দুপাশে জরুরি ভিত্তিতে দুটি স্পীড ব্রেকার নির্মান সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সীমান্তবাংলা / শা ম / ১৫ মার্চ ২০২২