ওমর ফারুক উখিয়া-কক্সবাজার
অদ্য ৯এপ্রিল ২৩ইং ১৭ রমজান, কক্সবাজারে ইসলামী রাজনৈতিক সংঘটন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত হোটেল অস্টার ইকো মিলনায়তন হলে ঐতিহাসিক ১৭রমজান বদর দিবস এর শিক্ষা ও মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহাফিল অনুষ্টিত হয়েছে।
অনুষ্টানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ফরিদুল আলম’র সঞ্চালনায়,জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বদর দিবসের আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার উপদেষ্টা মাওলানা হাফেজ হারুনর রশিদ, ডা:মোহাম্মদ আমিন,উলামা মশায়েখ আইম্মাপরিষদ জেলা সভাপতি মাওলানা মুহসেন শরীফ,মা-হাদ আল নিবরাসের প্রিন্সিপাল মাওলানা জিয়াউল হক, মুফতি আব্দুল গফুর নদীম, মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব,প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, প্রভাষক আলী আছগর, এবি পাটির কেন্দ্রীয় নেতা ও দৈনিক ইনকিলাব এর কক্সবাজার প্রতিনিধি সাংবাদিক শামসুল হক শারেক,জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার উখিয়া প্রতিনিধি তরুণ সাংবাদিক ওমর ফারুক, কাউন্সিল’র নুর মোহাম্মদ মাঝু, ক্বারী আবু নাছের, যুব নেতা নুরুল ইসলাম ছাত্র নেতা জুনাইদুল ইসলাম সহ প্রমূখ।
বক্তব্যে বলেন, যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে পবিত্র বদর দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। মসজিদ মাদরাসায় বিশেষ ইবাদাত বন্দেগী করেছে।সে সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আলী বলেছেন, বদরের ঘটনায় সত্যপথের অনুসারী অল্পসংখ্যক রোজাদার মুসলমান বিশাল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মিথ্যার অনুসারী কাফের-মুশরেক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করে সত্য-মিথ্যার চিরপার্থক্য সূচনা করেন। আমরাও বদরের চেতনায় তাগুতি ও খোদাদ্রোহী শক্তির মোকাবেলায় ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছি। বদরের চেতনায় ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।
এতে বক্তারা আরো বলেন, ইসলামের ইতিহাসে বদর যুদ্ধের গুরুত্ব তাৎপর্য অত্যাধিক। ১৭ রমজানের এ প্রেক্ষাপট ইসলামে বিশেষভাবে সংরক্ষিত। এ দিন ৩১৩ জন সাহাবিকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নেতৃত্বে তৎকালীন সময়ের আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত মক্কার কাফের-মুশরেকদের সঙ্গে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল রক্তক্ষয়ী বড় যুদ্ধ। মুসলমানদের প্রভু এ যুদ্ধে ফেরেশতাদের দ্বারা বিশেষভাবে সাহায্য করে ঐতিহাসিক বিজয় দান করেছিলেন।তাওহিদ তথা একত্ববাদের বার্তাবাহক মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ইসলাম এবং মুসলমানদের জন্য এটি ছিল প্রথম বড় সামরিক যুদ্ধ। এই যুদ্ধের আগে মুসলমান ও মুশরেকদে মধ্যে বেশ কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হলেও বদরের যুদ্ধ ছিল দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম বড় যুদ্ধ। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী বিজয় লাভ করে। ফলে ইসলাম প্রতিষ্ঠা ও মদিনা রাষ্ট্রে ভিত্তি তৈরিতে এ যুদ্ধে বিজয় বিশেষ ভূমিকা রাখে।
এতে সকলে দোয়ামোনাজাত ও ইফতারের আয়োজন এর মাধ্যমে অনুষ্টান সমাপ্তি করা হয়।