২৫ দিন পর হুইল চেয়ারে ফিরলেন ফখরুল

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১

সীমান্তবাংলা ডেক্স : সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ২৫ দিন পর দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ৩০ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর যান তিনি

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় ফখরুল জানান, এখনো তিনি অসুস্থ।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উত্তরার বাসায় গিয়েছেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মির্জা ফখরুল স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে দেশে ফেরেন। বিমানবন্দরের টার্মিনালের হুইল চেয়ারে করে গাড়ির কাছে আসেন এবং হুইল চেয়ারে বসেই তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব এবং স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ‘চেতনাবিরোধী’ কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব বাতিলে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এজন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সদস্য মোশাররফ হোসেন এমপিকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি জামুকার ৭২তম সভায় এ কমিটি গঠন করা হয় বলে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- জামুকার সদস্য শাহজাহান খান এমপি ও মো. রশিদুল আলম।

জানা গেছে, সংবিধান লঙ্ঘন, সংবিধানের মূলনীতি বাতিল, মুক্তিযোদ্ধা হয়েও স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন ও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা করায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি জামুকার ৭২তম সভায় জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খেতাব কেড়ে নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানকে কেউ খাটো করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি আগে বলেছি, জামুকার সিদ্ধান্ত কখনোই দেশের মানুষ মেনে নেবে না, এটা গ্রহণযোগ্য হবে না এদেশের মানুষের কাছে। জিয়াউর রহমানের অবদানকে কেউ খাটো করে দেখাতে চাইলে খাটো করে দেখাতে পারবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই খেতাব তো তিনি অর্জন করে্ছেন। এটা কারো দয়ায় পাওয়া নয়। যুদ্ধ করেছেন উনি এবং সেটা উনি পেয়েছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা করে্ছেন উনি সেটা অর্জন করে্ছেন। সুতরাং এটা নিয়ে আমরা মনে করি যে, জিয়াউর রহমানের কোনো রকমের কোনো ক্ষতি তারা করতে পারবে না।’

সিঙ্গাপুরে টিকা দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সেখানে (সিঙ্গাপুর) বিদেশিদের টিকা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা এখানে এসে দেখবো কী অবস্থা। রেজিস্ট্রেশন করে তখন চেষ্টা করব।’

শরীরের অবস্থা কেমন প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, ‘ভালো না। আই অ্যাম সিক। আমি অসুস্থ, এখনো সুস্থ নই। সিঙ্গাপুরে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে তারপরে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফিরছি।’

সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বাংলাদেশ ব্যংকের সাবেক গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘সৈয়দ আবুল মকসুদ সাহেব আমার ব্যক্তিগত বন্ধু ছিলেন। আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি তার মৃত্যু সংবাদে। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সাহেব নিঃসন্দেহে এই দেশের একজন মানুষ যাকে বলা যেতে পারে যে, এ ম্যান অব ইন্ট্রিগ্রেটি, ম্যান অনেস্টি অ্যান্ড ডিগনেটি। ব্যাংকিং সেক্টারে তিনি একজন দিকপাল ছিলেন। দুজনের মৃত্যুতে জাতি দুজন অত্যন্ত যোগ্য মানুষকে হারালো।’

ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/জেবি/এডমিন/ইবনে

সংবাদটি শেয়ার করুন