কক্সবাজার- মহেশখালী সংযোগ সেতু চাই || মহেশখালী বাসীর প্রাণের দাবী

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদনঃ
কক্সবাজার জেলার দ্বীপাঞ্চলীয় উপজেলা মহেশখালী। পান, মাছ, শুটকি, চিংড়ি, লবণ এবং মুক্তার উৎপাদন মহেশখালী উপজেলাকে দিয়েছে আলাদা পরিচিতি। দ্বীপটি লবণ ও পান ব্যবসায়ের প্রধান কেন্দ্র। সামুদ্রিক মাছ ধরা, চিংড়ি চাষ করা এবং তা প্রক্রিয়াজাতকরণ এই দ্বীপের একটি বিকাশমান শিল্প। পান চাষ এখানকার ঐতিহ্যবাহী পেশা ও ব্যবসা। শুষ্ক মৌসুমে সামুদ্রিক শুঁটকির জন্য দেশী-বিদেশী ব্যবসায়ীদের ভীড় জমায় এই দ্বীপে। এছাড়া এই দ্বীপে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ বালি। এ উপজেলায় ভূস্বামী, প্রান্তিক চাষী, বর্গাচাষী কৃষকেরা ছাড়াও রয়েছে ভূমিহীন কৃষকেরাও। মোট উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িতদের পরিসংখ্যান হলো: লবণচাষী ৫৫%, কৃষি ২১.১৭%, পানচাষী ১৫%, ব্যবসায়ী ৬.৯০% এবং চাকরিজীবি ০.৯৭%।
পান, লবন,  চিংড়ীর জন্য বিখ্যাত এই দ্বীপটি উন্নয়নের ক্ষেত্রে সকল উপজেলার তুলনায় মাত্র ২৫ ভাগ উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে মাত্র।

                        লবনের মাঠ

মাতারবাড়ী, ধলঘাটা,  কালারমারছড়া, শাপলাপুর, হোয়ানক, বড় মহেশখালী, কুতুবজোম ও ছোট মহেশখালী নিয়ে অত্র উপজেলাটি বিরাজমান।
মহেশখালীর অবস্থান পশ্চিমাংশে ২১°২৮´ থেকে ২১°৪৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫১´ থেকে ৯১°৫৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে কুতুবদিয়া চ্যানেল ও কুতুবদিয়া উপজেলা; উত্তর-পূর্বে পেকুয়া উপজেলা পূর্বে মহেশখালী চ্যানেল, চকরিয়া উপজেলা ও কক্সবাজার সদর উপজেলা, দক্ষিণ-পূর্বে কক্সবাজার সদর উপজেলা এবং দক্ষিণে ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।

            রাখাইন পাড়া বৌদ্দ মন্দির

১৯৫৪ সালে মহেশখালী থানাটি গঠিত হয়।  ১৯৮৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর এই থানাটিকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এই উপজেলায় আরো তিনটি ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। এগুলো হল, সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা। বর্তমানে মহেশখালী উপজেলায় ১টি পৌরসভা এবং ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। দ্বাইপাঞ্চলীয় উপজেলা হলেও পর্যটন খাত থেকে শুরু করে বেশির ভাগ উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকেন  উপজেলার প্রশাসন।

             ঐতিহ্যবাহী আদিনাথ মন্দির

অধ্যাপক ড. সুনীতি ভূষণ কানুনগোর মতে, ১৫৫৯ সালের প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এই দ্বীপের সৃষ্টি হয়। একজন পর্তুগিজ ভ্রমণকারী আরাকান অঞ্চলে এই প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের বিবরণ লিপিবদ্ধ করে গেছেন। তাছাড়া দ্বীপের পূর্ব প্রান্ত দিয়ে উত্তর দক্ষিণমুখী পাহাড় এবং তার পাদদেশে প্রবাহিত চ্যানেল থাকার কারণে অনুমিত হয় যে, দ্বীপটি একসময় মূল ভূ-খণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলো।

১৭৮২ সালের ২০ নভেম্বর রবার্ট ওয়ারলেজ চট্টগ্রামের ইংরেজ কালেক্টর চার্লস ক্রাফটস-এর কাছে ২০,০০০ টাকার বিনিময়ে দ্বীপটি হস্তান্তর করেন। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে দুরত্ব আর যোগাযোগের অসুবিধার কারণে জনাব ক্রাফটস স্থানীয় দেওয়ান কালিচরণ কানুনগোর কাছে ৪০,০০০ টাকার বিনিময়ে দ্বীপটির মালিকানা হস্তান্তর করেন। কালিচরণ কানুনগো নিঃসন্তান ছিলেন। চণ্ডিচরণ নামক এক ছেলেকে তিনি দত্তক পুত্ররূপে গ্রহণ করেন। ১৭৯০ খ্রিষ্টাব্দে কালিচরণ কানুনগোর মৃত্যু হলে তার স্ত্রী প্রভাবতী হন মহেশখালীর।

  ঝুকি নিয়ে মহেশখালী কক্সবাজার যাত্রাপথ

মহেশখালীর ইতিহাসের সাথে সাথে নাথ সম্প্রদায়ের ইতিহাস উল্লেখযোগ্য। নাথ সম্প্রদায়ের প্রথম গুরু মীন নাথের শিষ্য গোরক্ষ নাথ-এর আবির্ভাব কাল একাদশ শতাব্দীতে এবং তার রচিত গ্রন্থ “গোরক্ষ বিজয়” প্রকাশিত হয় ষোড়শ শতাব্দীতে। নাথ সম্প্রদায়ের চারজন সিদ্ধগুরু মীননাথ, গোরক্ষনাথ, হাড়িপা এবং কাহ্নপার প্রভাব বাংলা ছাড়িয়ে নেপাল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। কাজেই বাংলার প্রান্তে মহেশখালীতে নাথ সম্প্রদায়ের প্রভাবে মন্দির নির্মিত হওয়া স্বাভাবিক। বাংলাদেশের দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, বগুড়া অঞ্চলে গোরক্ষনাথের শিব মন্দির রয়েছে। দক্ষিণ প্রান্তে এটিই একমাত্র মন্দির। মন্দিরের অনতিদূরে একটি বাজারের নাম গোরকঘাটা বাজার। কাজেই এ মন্দিরে গোরক্ষনাথ এবং তার শিষ্যদের যাতায়াত ছিল বলে অনুমান করা যায়। আদিনাথ মন্দিরের লোক কাহিনীতে নেপাল রাজা, নূর মোহাম্মদ সিকদারের উল্লেখ আছে। গোরক্ষ বিজয়েও কবীন্দ্র দাস, শ্যামদাস, ভীমদাসসহ ফয়জুল্লাহ, সুকুর মুহাম্মদ প্রভৃতি মুসলমানের নামও পাওয়া যায়। কাজেই হিন্দু-মুসলমান মিলনের সেতু হিসাবে আবির্ভাব ঘটে এবং নাথ সম্প্রদায়ের প্রভাবে মহেশখালীতে আদিনাথ মন্দির নির্মিত হওয়া স্বাভাবিক বলেই মনে হয়।

লোককাহিনী অনুসারে মহেশখালীর মৈনাক পাহাড়ে শিবের আবির্ভাব ঘটে ত্রেতাযুগে। রাম-রাবনের যুদ্ধের সময় শিবের আশির্বাদ লাভের জন্য রাক্ষসরাজ রাবন কৈলাশে যান শিবকে আনার জন্য। দেবতাদের অনুরোধে শিব রাবনকে শর্ত দেন যে, বিরতিহীনভাবে নিয়ে যেতে পারলে শিব লংকায় যেতে রাজি আছেন। শর্ত মেনে শিবকে মাথায় নিয়ে রাবন যাত্রা শুরু করে। কিন্তু প্রস্রাবের জন্য মৈনাক পাহাড়ে রাবনের যাত্রাবিরতি ঘটে। এতে শর্তভঙ্গ হওয়ায় শিব, মৈনাক পাহাড়ে অবস্থান গ্রহণ করেন। লোককাহিনী মতে, একদিন স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে এক নাগা সন্ন্যাসীর সহায়তায় নেপাল থেকে পাথরের অষ্টভূজা দুর্গামূর্তি মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সমুদ্রের মধ্যে মৈনাক পর্বতের অবস্থান বলে রামায়নে উল্লেখ আছে। মহেশখালী দ্বীপ এবং সমুদ্রের মাঝখানে আদিনাথ পাহাড়টির নাম মৈনাক পাহাড়। আদিনাথ মন্দিরটি সমুদ্রস্তর থেকে ২৮৮ ফুট উঁচু মৈনাক পাহাড়ের চুড়ায় অবস্থিত।

দ্বীপটির নামকরণের ইতিহাস সুবিদিত নয়। কিংবদন্তি অনুসারে, ছোট মহেশখালীর তৎকালীন এক প্রভাবশালী বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ সিকদার, মাঝে মাঝেই পাহাড়ে হরিণ শিকার করতে যেতেন। একদিন হরিণ শিকার করতে গিয়ে সারা দিন এদিক-ওদিক ঘুরেও শিকারের সন্ধান না পেয়ে একটি গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হঠাৎ কিছু একটার শব্দে তার তন্দ্রা টুটে যায়। শব্দ অনুসরণ করে তিনি দেখতে পান যে, একটি গাভী একটি মসৃণ শিলাখণ্ডের উপর বাট থেকে দুধ ঢালছে; এই গাভীটি তারই গোয়ালঘর থেকে কিছুদিন আগে হারিয়ে যায়। গাভী আর সেই সুন্দর শিলাখণ্ডটি নিয়ে তিনি বাড়ি ফেরেন। সেদিন রাতেই তিনি স্বপ্নে দেখতে পান, এক মহাপুরুষ তাকে বলছেন যে, শিলাখণ্ডটি একটি দেব বিগ্রহ। এ বিগ্রহ যেখান থেকে নিয়ে এসেছেন সেখানে রেখে তার উপর একটি মন্দির নির্মাণ করতে হবে। মন্দিরের নাম হবে আদিনাথ মন্দির। এ আদিনাথের (শিবের) ১০৮ নামের মধ্যে “মহেশ” অন্যতম। আর এই মহেশ নাম হতেই এই স্থান পরবর্তীতে মহেশখালী হয়ে যায়। আবার এটি প্রায় ২০০ বছর আগে মহেশখালী নামে পরিচিত হয়ে উঠে, বৌদ্ধ সেন মহেশ্বর দ্বারাই এটির নামকরণ হয়েছিল বলেও অনেকের ধারণা।

মুমুর্ষ রোগীকে কক্সবাজার পার করার দৃশ্য

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মহেশখালী উপজেলার মোট লোকসংখ্যা ৩,২১,২১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৬৯,৩১০ জন এবং মহিলা ১,৫১,৯০৮ জন। মোট জনসংখ্যার ৯০.০৮% মুসলিম, ৭.৮০% হিন্দু, ১.৩০% বৌদ্ধ এবং ০.৮২% অন্য ধর্মাবলম্বী রয়েছে। মহেশখালী উপজেলার সাক্ষরতার হার ৩০.৮০%।  এ উপজেলায় ১টি ডিগ্রী কলেজ, ১টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ১টি ফাজিল মাদ্রাসা, ৩টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, ৪টি আলিম মাদ্রাসা, ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৫টি দাখিল মাদ্রাসা, ৬টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

দ্বীপটি শিক্ষা দ্বীক্ষায় এগিয়ে থাকলেও উন্নয়নের লেশ মাত্র নেই বললেই চলে। একটিও উচ্চশিক্ষাস্থল না থাকায় মহেশখালীর ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ী জমাতে হয় চট্রগ্রাম ও ঢাকাতে। এছাড়া দেশের সাথে একটি মাত্র সংযোগ সড়ক যা গোরক ঘাটা হয়ে হোয়ানক, কালার মার ছড়া থেকে চকরিয়া পৌছেছে সেটির অবস্থাও বেশ নাজুক এবং বেশ দুরত্বের, যার কারনে অনেক মুমুর্ষ রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যায়। একটি মাত্র সরু সড়ক হওয়ায় দূর্ঘঠনার কথা না হয় বাদই দিলাম।

এই সব কিছু মাথায় রেখে অত্র উপজেলার ছাত্র, যুব, বৃদ্ধ বনিতার একটি মাত্র প্রানের দাবী ছিলো মহেশখালী হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত একটি দীর্ঘ সেতু নির্মান। যা দীর্ঘদিনের প্রানের দাবী থেকে শুরু করে বর্তমানে এক প্রকার মৌন আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। তাদের মতে ব্রীজটি নির্মান হলে অত্র উপজেলার সন্তানেরা একদিকে যেমন কক্সবাজারে এসে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে অন্যদিকে চিকিৎসা ব্যবস্থার বিষয়ে দ্রুত যে কোন মুমুর্ষ রোগীকে কক্সবাজারে স্থানান্তর করা যাবে,  তাছাড়া ব্যবসায়িক দিক দিয়ে আরো উন্নতির দ্বার প্রান্তে পৌছাবে মহেশখালী উপজেলা দ্বীপটি।

কক্সবাজার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দ্বীপটিতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, খুন, চাঁদাবাজি নিত্যনৈমত্তিক ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে, যা প্রশাসন নিয়ন্ত্রন করতে হিমশিম খাচ্ছে বলে বলা যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে অর্থাৎ সেতুটি নির্মিত হলে হয়তো প্রশাসন এসব অপকর্ম শুন্যের কৌটায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হতো।

সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে নির্মিত একমাত্র জেটি যা গোরকঘাটায় অবস্থিত এটিই প্রধানতম সংযোগস্থল, যেটির উপর মহেশখালী বাসীর প্রধান ভরসা কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ রক্ষার। কিন্তু সেখানেও মরনফাঁদ। গোরকঘাটা জেটি দিয়ে যেসব নৌযান কক্সবাজার অভিমুখে নিয়মিত যাতায়াত করে সেগুলির বেশির ভাগ নৌযানে নেই লাইফ জেকেট যা সরকারের তরফ থেকে দেয়া হয়। কিভাবে এসব লাইফ জেকেট লাপাত্তা হয় তার কোন সুদোত্তর কেউ দিতে পারেনি। হয়তো বা জেনেও অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পায়না। এসব নৌযানে লাইফ জেকেট না থাকায় প্রতিদিন ঘঠছে দুর্ঘঠনা, ঘঠছে অনাকাংখিত মৃত্যু।

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘুর্নিঝড়ে মহেশখালী

১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ এপ্রিল এই দ্বীপটির জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে শোকাবহ দিন। এদিনে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লণ্ডভণ্ড হয়েছিল মহেশখালীর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। কত লোক প্রাণ হারিয়েছে কিংবা কত পরিবার সাগরের বুকে নিশ্চিহ্ন হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান আজো জানা যায়নি। এ বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়কালীন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০০-২৫০ কিলোমিটার। জলোচ্ছ্বাসে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৬.১ মিটার। এ ঘূর্ণিঝড় কেড়ে নেয় উপকূলের লক্ষ লক্ষ মানুষ, পশু-পাখির জীবন। সরকারি হিসেবে কক্সবাজার জেলায় এ সময় নিহত হয় ৫০ হাজার মানুষ। শুধু প্রাণহানী নয়, জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা এতই ব্যাপক ছিলো যে, অসংখ্য বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জনপথ, বিদ্যালয়, মাদ্রাসা বিধ্বস্ত হয়ে যায়।

এতো কিছুর পর ও মহেশখালীবাসী তাদের মনোবল হারাননি। আবার ঘুরে দাড়িয়েছেন। নিজ নিজ চেষ্টায় আবার নিজের বাড়ীঘর, কর্মস্থল ঠিক করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন বুনে যাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে সরকারী অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে গভীর সমুদ্র বন্দর সহ, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। যা সারা দেশের উন্নয়নেরই একটি অংশ বলা যায়। এখন বাকী রয়েছে শুধুমাত্র কক্সবাজার – মহেশখালী সংযোগ সেতুটি।  মহেশখালীর আপামর জনতা এখনো আশাবাদী সরকার এই সেতুটির ব্যপারে সুনজর দিবেন এবং শীগ্রই প্রকল্পের কাজে হাত দিবেন।

শাহীন মঈনুদ্দীন
বার্তা সম্পাদক
( সীমান্তবাংলা ডট কম/ ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১)