সীমান্ত দিয়ে হাঁস- মুরগি প্রবেশরোধে মন্ত্রণালয়কে চিঠি

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২১

সীমান্তবাংলা ডেক্সঃ বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে সীমান্ত দিয়ে যাতে হাঁস-মুরগি ও পাখি জাতীয় প্রাণী প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বার্ড ফ্লু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশেও এ রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। সার্বিক বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এ রোগের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধ এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়কে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে যাতে পাখি জাতীয় প্রাণী প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে নজর রাখতে চিঠি দিয়েছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এছাড়াও এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, পার্শ্ববর্তী কোনো দেশে ডিজিস হলে মন্ত্রণালয় থেকে পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

যেহেতু ভারতে বার্ড ফ্লু দেখা গেছে, যদিও ভারতের অনেক দূরের রাজ্যগুলোতে দেখা দিয়েছে এটা আমাদের সংলগ্ন না। তারপরেও যাতে এগুলো বাংলাদেশে না আসতে পারে সেজন্য আমরা এ সময়টাতে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কোনো পাখি জাতীয় প্রাণী না আসে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, ব্যবস্থা নিতে পারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তারা যেহেতু আমদানির বিষয়গুলো দেখে। তারপর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় তারা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোস্টগার্ড-বিজিবির দায়িত্বে। তাই এ ধরনের প্রাণী যাতে না ঢুকতে পারে সেজন্য পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের চিঠি দিয়েছি। আমরা আশা করি এটা ঘটবেও না। তারপরও আমরা একটু সাবধানতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে রাখলাম আরকি। আমরা চিঠিতে সীমান্তবর্তী এলাকার কথা বলেছি, কোন দেশের নাম বলিনি।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকেও চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বলা হয়, দেশের সীমান্তবর্তী জেলাসহ অন্যান্য জেলায় প্রতিদিন বার্ড ফ্লু রোগের অনুসন্ধান এবং সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সরকারি-বেসরকারি খামারে নিবিড় তত্ত্বাবধানের জন্য চিঠিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে কোনো মৃত বা সন্দেহজনক হাঁস-মুরগি বা পাখি পাওয়া গেলে নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুত নিকটবর্তী ল্যাব থেকে পরীক্ষা করে ফলাফল অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এ চিঠিতে।

জেলা ও উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতাল ও গবেষণাগারে পর্যাপ্ত নমুনা পরীক্ষার কিট ও পিপিই জরুরি ভিত্তিতে সরবরাহ, খামারে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কৃষক ও খামারিদের সতর্ককরণে ব্যাপক প্রচারণা চালানো, বার্ড ফ্লু প্রতিরোধকল্পে এর টিকার বর্তমান মজুদ যাচাই করে দ্রুততার সাথে টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা নিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে চিঠির মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

(সীমান্তবাংলা/১৩ জানুয়ারি ২০২১ইং)