উখিয়ায় প্রভাবশালী ‘পাহাড় খেকো’ সিন্ডিকেট কর্তৃক অবাধে পাহাড় কেটে উজাড়,পরিবেশ বিপর্যয়ের শংকা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২০


এম আর আয়াজ রবি, উখিয়াঃ

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কুতুপালং এলাকার ‘কেশিব বর ঘোনা’ নামক স্থান ও উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে রাতের অন্ধকারে ও দিন-দুপুরে প্রাকৃতিক পেরেক খ্যাত টিলা, উপত্যকা ও বিভিন্ন পাহাড়সমুহ কেটে উজাড় করে দিচ্ছে এক শ্রেণির পাহাড় খেকো ভুমিদস্যুরা। পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশের যেমন বিপর্যয় ঘটছে তেমনি বনভুমি ও বন্যপ্রাণির অস্তিত্বের উপর আঘাত আসছে চরমভাবে। জলবায়ু ও ইকোসিস্টেমে পড়ছে পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাত্মক অশনি সংকেত। যার ফলে প্রকৃতি তার আপন ভারসাম্য হারাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনিতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এ এলাকার পাহাড় ও বনভুমির উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়েছে, অন্যদিকে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারনে প্রকৃতির রক্ষাকবচ পাহাড় ও বনভুমির উপর পড়ছে নিয়ন্ত্রনহীন চাপ, ফলে ঘটছে জলবায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি ও মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়।

অত্র প্রতিবেদক, সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে জানতে পারেন,কুতুপালং হাইস্কুলের পশ্চিম পার্শ্বে, কেশব বর ঘোনা, ধইল্ল্যাঘোনা নামক স্থান থেকে প্রাকৃতিক পেরেকখ্যাত উঁচু টিলা, উপত্যকা, পাহাড় কেটে, বনভুমি ধ্বংশ করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়ছে।উক্ত স্থাপনাসমুহ উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যেমন, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশেপাশের এলাকা, উখিয়া সদর ষ্টেশন আশপাশ এলাকা, কোট বাজার ষ্টেশনের আশ পাশে্র এলাকা, দরগাহবিল, হাতিমোরা,পুর্বদরগাহবিল, দক্ষিণপাড়া, বাগানপাড়া,মরিচ্যা বাজার, ইনানী, সোনার পাড়া, ঘুংধুম, বালুখালী, থাইংকালী,পালংখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতের অন্ধকারে ও প্রকাশ্যে প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ, পরিবেশবাদী, থানা প্রশাসন, বনপ্রশাসন ও স্থানীয় নেতানের্তৃদের ম্যানেজ করে অবৈধ পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী সিন্ডিকেটচক্র -যা প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট করে প্রকৃতির উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির কারন হয়ে উঠছে দিনকে দিন।

বিভিন্ন এলাকার ভোক্তভূগী জনসাধারন, অত্র প্রতিবেদককে জানান, চোরাকারবারী পাহাড় খেকোদের ডাম্পার গাড়ীর কারণে এলাকার কাঁচা রাস্তা,ইটের সলিনের রাস্তা, ছোটখাট ব্রীজ কালভার্ট ভেঙ্গে গেছে, অনবরত গ্রাম্য রাস্তা পায়ে হাঁটা ও গাড়ি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন ডাম্পার ভর্তি মাটি পাচার ও বহনের কারণে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্হার সৃষ্টিহয়েছে। এলাকার পাহাড় পর্বত কেটে সাবাড় করায় পরিবেশেরউপর ঘটছে মারাত্মক বিপর্যয়। অথচদেখা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ।জানা গেছে,উখিয়া বন রেঞ্জের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে মাসিক চুক্তির মাধ্যমে এসব পাহাড় খেকো সিন্ডিকেটচক্র কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে। উখিয়া বিট অফিসার মিঃ বজলুর রশীদের সাথে আলাপ কালে এ প্রতিবেক উপরোক্তগুলোর ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি কিছুটা স্বীকার করলেও তিনি উনার ও উনার ডিপার্টমেন্টের সীমাবদ্ধতার কথা একবাক্যে তুলে ধরেন। উনাদের জনবলের স্বল্পতার, বিভিন্ন এক্যুইপমেন্টের স্বল্পতা ও স্থানীয়দেরকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা,নেতৃ ও প্রভাবশালী চক্রের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার কথাও তিনি তুলে ধরেন।

অনুসন্ধানে অত্র প্রতিবেদক জানতে পারেন, কুতুপালং এলাকার মনচানু বড়ুয়া সিন্ডিকেট কুতু পালং উচ্চবিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বের এলাকার ধইল্ল্যাঘোনা নামক স্থানের কেশব বর ঘোনা নামক স্থান থেকে প্রাকৃতিক পাহাড় কেটে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশে পাশের এলাকা সমুহ, প্রিয়ধন বড়ুয়া ও সৈয়দ আহমদের প্রায় ১ একর পাহাড় কেটেছে, হাংগর ঘোনার ললিত বড়ুয়ার প্রায় ৪০শতক, মধ্যম পাড়ার নিতন বড়ুয়ার প্রায় ৫০শতক, পশ্চিম পাড়ার বদিউল আলমের প্রায় ৩০শতক, বর্তমান কেশব বরঘোনার প্রায় ২ একর পিএফ পাহাড় কেটে উজাড় করেছে। এসব পাহাড় কেটে রতন বড়ুয়ার ১ একর, জুনু বড়ুয়ার ৪০ শতক, মৃত বখতেয়ার মেম্বারের ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন স্থান, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক সংলগ্ন প্রায় ২ একর সমতল ভুমি ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে সোলাইমান হাজীর বাড়ির সামনে, বাদশা মিয়ার ভিটাসহ প্রায় ৫০ শতক ভুমি ভরাট করেন। তাছাড়া এডভোকেট ছমি উদ্দীনের রোহিঙ্গা বাজার সংলগ্ন এলাকার প্রায় ৬০ শতক জায়গা মনচানু বড়ুয়া সিন্ডিকেটের তত্ত্বাবধানে ভরাট করা হয়েছে বলে জানা যায়। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, মনচানু বড়ুয়ার নিজের প্রায় ১০/১২ টা ডাম্পার নিয়ে রাতের অন্ধকারে বন বিভাগ ও অন্যান্যদের ম্যানেজ করে আরও অনেক জায়গার পাহাড় কেটে সমতল ভুমি ভরাট করে উক্ত মনচানু বড়ুয়া রাতারাতি কোটিপতি বনে যাবার খবরও এই প্রতিবেদক জানতে পারেন।

মনচানু বড়ুয়া সিন্ডিকেট কর্তৃক পাহাড় কেটে মাটি ভরাট করার কিছু বাস্তব উদাহরন দাগ নাম্বারসহ দেওয়া হল-উখিয়া মৌজার ৫নং খতিয়ানের আওতায় দাগনাম্বার সমুহ-দাগ নং ৭৩০৬,৭২৬৯ (মৌলভি বখতেয়ার মেম্বার), ৭২৭১ ( রটন বড়ুয়া), ৭২৬৪, ৭২৯৫ (ঝুনু বড়ুয়া), ৭৬১২ ( আবদুর রহিম), ৭৬৬০(বাবুল), ৭১৬২ ( সৈয়দ নুর সওদাগর), ৭১৬০ ( নুরুল হকের পুকুর), ৭০২৯ (ঝুনু মিয়া চৌং)
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, মনচানু বড়ুয়া রোহিঙ্গা আসার অব্যবহিত পুর্বেও নিতান্ত হত দরিদ্র অবস্থায় কালাতিপাত করেছেন। কিন্তু রোহিঙ্গা আসার পরে তিনি রামু বৌদ্ধ মন্দিরে ভান্তেদের খাবার সরবরাহ করার নাম করে টিফিন ক্যারিয়ারে করে টিফিন ক্যারিয়ার ভর্তি ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করে রাতারাতি কোটিপতি তালিকায় নাম লিখিয়ে বর্তমানে প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ, বনবিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ম্যানেজ করে ‘পাহাড় খেকো ডন’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ধরাকে সরা জ্ঞান করে, মানুষকে মানুষ হিসেবে গন্য করছেন না। পাহাড়, বনভুমি ও পরিবেশ রক্ষায় দেশের প্রচলিত আইন কানুন ও রীতিনীতিকে বৃদ্ধাংগুলী প্রদর্শন করে অন্যায়ভাবে পাহাড় ও বনভুমি উজাড় করে উখিয়ার পরিবেশ, প্রতিবেশকে মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন করে তোলছে। তাছাড়া, উনার ছেলেদেরকে ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন রাষ্ট্রে সেটল করে রাজার হালে কুতুপালং এ অবস্থান করছেন। তিনি এখন নিজেকে কুতুপালং এলাকার ‘ডন’ নামে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করেন বলে স্থানীয়দের অনেকেই এ প্রতিবেদককে জানান। বৈধ-অবৈধ উপায়ে অর্জিত কাঁচা টাকায় আস্তে পৃষ্টে জড়িত হয়ে তিনি কাঁচা টাকা ও গায়ের জোরে দেশের প্রচলিত আইন কানুনকে বৃদ্দাংগুলী দেখাতে পীছপা হচ্ছেন না।

অত্র প্রতিবেদক, জনাব মনচানু বড়ুয়ার সাথে আলাপ করে উনার ব্যাপারে বিভিন্ন মাধ্যমের অভিযোগ গুলোর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি রীতিমত সব অভিযোগ খন্ডন করে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, জীবনে তিনি অনেক কষ্ট করে বর্তমান পর্যায়ে এসেছেন। তিনি কখনও দেশের প্রচলিত আইন শৃংখলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হননি। তিনি ছোট বেলা থেকে মাছ বেপারী হিসেবে বাজারে বাজারে মাছ বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। গত ২০০৯ সালের দিকে উনার বড় ভাইয়ের ছেলে ইউরোপের একটি দেশে যাবার সুযোগে, একে একে উনার ছেলেদেরকেও ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে পাঠাবার সুযোগ পেয়ে, ছেলেদের সহযোগিতায় তিনি স্থানীয়ভাবে কিছু জমি জমা কিনে, বাড়িঘর করে সমাজে কিছুটা প্রতিষ্টা পাবার কারনে সমাজের স্বার্থান্বেষী মহল উনার ভালভাবে সমাজে প্রতিষ্টা পাবার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে এসব অপপ্রচার ও রিউমার ছড়াচ্ছে।উনি আরও আক্ষেপ করে বলেন, এ সমাজে আমি সবার সাথে ভালভাবে মিলেমিশে থাকতে চেষ্টা করেছি। গরীব, দু;খী, মেহনতী মানুষ ও পাড়া প্রতিবেশি, আত্মীয়স্বজনদের সাধ্যমত বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছি। আমার সামাজিকভাবে প্রতিষ্টা পাবার ঈর্ষায় অনেকেই অন্তঃদহনে জ্বলার কারনে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার নামে উক্ত নেতিবাচক মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালিয়ে আমাকে ছোট করার হীন প্রচেষ্টা করছে মাত্র। উনি আরও বলেন, উনার কাছে ৬/৭টি ডাম্পার আছে ঠিক আছে, কিন্ত তিনি তা ব্র্যাকসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার মালামাল ডেলিভারি দেবার কাজে মাসিক ভিত্তিতে চুক্তি করে ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন। তাই উনার ডাম্পার দিয়ে পাহাড় কেটে মাটি ভরাট করার প্রশ্নই আসেনা। উনি আরও বলেন, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে তিনি জীবনে কয়েকবার গিয়েছেন ধর্ম পালন করার নিমিত্তে। কিন্তু টিফিন ক্যারিয়ার ভর্তি খাবার নেবার ঘটনা কোনদিন ঘটেনি। তাই ইয়াবা পাচারের প্রশ্নই আসেনা, উক্ত অভিযোগ গুলো নিতান্ত মানুষের অন্ত;জ্বালার বহিঃপ্রকাশ ও উনার নামে মিথ্যা অভিযোগ ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, উনার সেসব নিন্দুক ও স্বার্থান্বেষী মহলের এহেন হীন অভিযোগ গুলোর নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। তিনি বলেন, ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, যেন অভিযোগকারীদের এমন ভ্রান্ত, উদ্দেশ্য প্রনোদিত, উদ্ভট মিথ্যা প্রপাগান্ডা পরিহার করে, সঠিক‌ সুন্দর পথে নিয়ে আসেন। তিনি রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, তাদের অভিযোগগুলোর বাস্তবতা আপনারা খবর নিয়ে দেখেন।যদি একটি খবর বের করে সত্যপ্রমান করতে পারেন, আমি আমার জন্য যেসব শাস্তি দেন আমি মাথা পেতে নেব !

দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত পাহাড় কাটা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও এলাকার প্রভাবশালী ও অবস্থাসম্পন্ন পরিবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে পুঁজি করে দোকান ঘর, বাসাবাড়ী, অফিস ঘর তৈরির নামে প্রাকৃতিক পাহাড় নিধন করে, সমতল ভুমি ভরাট করে প্রাকৃতিক পেরেকখ্যাত পাহাড়কে বিনষ্ট করে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি করে এতদ অঞ্চলকে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ে মুখোমুখি করে, ভবিষ্যত প্রজন্মকে বসবাসের অযোগ্য করে গড়ে তোলার হীন প্রচেষ্টায় রত আছে যা আগামী দশকের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকার এক দশমাংশ ভুমি সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে যাবার যে আশংকা ছিল সেই আশংকাকে বাস্তবে রুপদান করার কাজে এসব পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট সম্পৃক্ত হয়ে দেশদ্রোহী কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছ, যার জন্য এসব পাহাড় ও বনভুমি রক্ষাকল্পে আইনানুগ ব্যবস্থা ও শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা এখন সময়ের একান্ত বড় দাবি।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন-১৯৯৫ (২০০০ সালে সংশোধিত) এর ১ নং ধারার ৬(খ) উপধারায়, পাহাড় কাটা সম্পর্কে বাধানিষেধ অপশনে বলাহয়েছে-“ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্টান কর্তৃক সরকারী বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্ত্ব শাসিত প্রতিষ্টানের মালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন, বা মোচন ( ) করা যাইবেনা। তবে শর্ত থাকে যে, অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে অধিদফতরের ছাড় পত্র গ্রহণক্রমে কোন পাহাড় বা টিলা কর্তন বা মোচন করা যাইত পারে“।

উক্ত আইনে প্রতিবেশ ব্যবস্থার ক্ষতির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের ব্যাপারে ১ নং ধারায় ৭(১) উপধারায় বলাহয়েছে, “ মহাপরিচালকের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন ব্যক্তির কাজ করা না করা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রতিবেশ ব্যবস্থা বা কোন ব্যক্তি বা গোষ্টির ক্ষতিসাধন করিতেছে বা করিয়াছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত ক্ষতির পরিমান নির্ধারন পুর্বক উহা পরিশোধ এবং যথাযথ ক্ষেত্রে সংশোধনমুলক ব্যবস্থা গ্রহন বা উভয় প্রকার ব্যবস্থা গ্রহনে জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন এবং উক্ত ব্যক্তি উক্ত নির্দেশনা পালনে বাধ্য থাকিবেন”।

এলাকারসচেতন মহল প্রচলিত আইনের বাস্তব প্রয়োগ করে, পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট চক্রেরবিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জমহোদয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
(চলবে……)

( সীমান্তবাংলা/ ২৬ নভেম্বর ২০২০)