ঢাকায় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ৯ টি বাসে আগুন

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২০

ঢাকা-১৮ আসনে উপ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত নয়টি বাসে আগুন দেয়ার ঘঠনা ঘঠেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।

“কয়েকটি জায়গায় যাত্রী বেশে বাসে উঠে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এর সাথে সরাসরি কারা জড়িত, কারা পরোক্ষভাবে এই নাশকতার কাজে মদদ দিয়েছে, তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।”

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাসেল শিকদার বলেন, “খবর পেয়ে আমাদের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিভিয়েছেন। কেউ হতাহত হননি।”

বিএনপি অফিসের বিপরিতে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা আয়কর বিভাগের একটি স্টাফ বাস জ্বলতে দেখা যায়।

এরপর বেলা ১টার দিকে মতিঝিলে মধুমিতা হলের পেছনে রাখা অগ্রণী ব্যাংকের একটি স্টাফ বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বেলা দেড়টার আগে আগে গুলিস্থানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে রমনা হোটেলের সামনে ভিক্টর ক্লাসিকের একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

বেলা দেড়টায় শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে দেওয়ান পরিবহনের একটি এবং বেলা ২টার পরপর সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেইটের সামনে রজনীগন্ধা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

আড়াইটার দিকে বংশাল থানার নয়াবাজার এলাকায় ডিআইটি সুপার মার্কেটের কাছে দিশারী পরিবহনের একটি বাস এবং পৌনে ৩টার দিকে পল্টন ধানাধীন পার্কলিং এ জৈনপুরী পরিবহনের একটি বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এরপর বিকাল ৩টায় মতিঝিলের পূবালী পেট্রোল পাম্পের সামনে বিআরটিসির একটি দোতলা বাস এবং সাড়ে চারটার দিকে ভাটার ধানাধীন কোকাকোলা মোড়ে ভিক্টর পরিবহনের আরও একটি বাসে আগুন দেওয়া হয় বলে পুলিশ উপ কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন জানান।

উপ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ‘একটি গোষ্ঠী’ এই নাশকতা ঘটিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা এ ধরনের নাশকতাকারীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। তাদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।

ভোট চলাকালে উত্তরার মালেকা বানু আদর্শ বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্রের বাইরে বোমাবাজির পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

( সীমান্তবাংলা/ শা ম/ ১২ নভেম্বর ২০২০)