প্রবাসী আয়ে বিশ্বে অষ্টম বাংলাদেশ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২০

সীমান্তবাংলা ডেক্স : মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স প্রবাহে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি বছরে প্রবাসী আয়ে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) ‘অভিবাসনের সাপেক্ষে কোভিড-১৯ সংকট’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংক ও নোম্যাডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে ২০২০ সালে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসবে ২০ বিলিয়ন ডলার। ফলে পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ থাকছে অষ্টম স্থানে।

রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত (৭৬ বিলিয়ন ডলার), দ্বিতীয়তে চীন (৬০ বিলিয়ন ডলার) আর তৃতীয়তে মেক্সিকো (৪১ বিলিয়ন ডলার)। শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের আগে রয়েছে পাকিস্তান, যার অবস্থান ষষ্ঠ। দেশটির রেমিট্যান্সের পরিমাণ হতে পারে ২৪ বিলিয়ন ডলার। 

প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০২১ সাল নাগাদ বৈশ্বিক প্রবাসী আয়প্রবাহ ২০১৯ সালের মহামারিপূর্ব পর্যায়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ হ্রাস পাবে। বৈশ্বিক অর্থনীতি যেখানে চলতি বছর সংকুচিত হবে, সেখানে প্রবাসী আয়ও স্বাভাবিকভাবেই কমবে।

তবে বৈশ্বিক মহামারি সত্ত্বেও এ বছর বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মেক্সিকোর প্রবাসী আয় বাড়বে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বাড়বে ৮ শতাংশ। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এই দেশগুলোর প্রবাসী আয় কমেনি এবং তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবাহ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে এখনো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে। এ অবস্থায় আনুষ্ঠানিক চ্যানেলগুলোর পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক চ্যানেল দিয়েও প্রবাসী আয়ের প্রবাহ সচল থাকবে। এ অঞ্চলের অপর দেশ ভারতের প্রবাসী আয়ে আগের বছরের চেয়ে ৯ শতাংশ কমে যাবে, যদিও পরিমাণের দিক থেকে তারা যথারীতি শীর্ষে থাকবে।

বাংলাদের ক্ষেত্রে হজ বন্ধের প্রভাব ছাড়াও রেমিটেন্স বাড়ার পেছনে আরও বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ তুলে ধরেছে বিশ্ব ব্যাংক। রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধির পেছনে বন্যাকেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে দেখছে বিশ্বব্যাংক। প্রায় ১০ লাখ ঘরবাড়ি ও ৪৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের প্রবাসী স্বজন বেশি টাকা পাঠিয়েছেন।

মহামারির মধ্যে এপ্রিল-জুন সময়ে শাটডাউনের কারণে অর্থ জমে যাওয়া ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনানুষ্ঠানিক (হাতে হাতে বহন) থেকে আনুষ্ঠানিক বৈধ পথে (ব্যাংকের মাধ্যমে) অর্থ আসাকেও রেমিটেন্স বাড়ার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দেখছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠালে সরকার যে ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, প্রবৃদ্ধিতে তারও ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ১৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) প্রায় সোয়া ৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।

ঢাকাটাইমস/৩১অক্টোবর/জেবি/এডমিন/ইবনে

সংবাদটি শেয়ার করুন