উ‌খিয়ায় ‌রোহিংগা সন্ত্রাসীর তান্ডব: ছিনতাইও বাড়িঘরে হামলা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০

এম আয়াজ রবি: ২৮‌সে‌প্টেম্বর দুপুর ২ টার সময়, রোহিংগা সন্ত্রাসীরা সিএনজি ভাড়া নিয়ে ড্রাইভার সেলিম না‌মের একজন বাংলাদেশীকে কুতুপালং মেইন রোড বাজার হয়ে মোচরা পয়েন্টে নিয়ে যায়, তখন ওত পেতে থাকা এক দল রোহিঙ্গা এসে ড্রাইভার সেলিম প্রকাশ হোসেন কে আক্রমণ করে, মারধর করে গাড়িটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বিগত কয়েক দিন গাড়িটির কোন খুঁজ মেলেনি। এর পর গত ২৭/০৯/২০ বিকাল ৪ টার গাড়ির সন্ধান মিলে রোহিঙ্গা ক্যাডার মুন্নার পাহাড়ে। এরপর কৌশলে ঐ এলাকার বসবাসকারী জনৈক ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা সরাসরি দুইজনের নাম বলেন এবং তাদের সাথে আরোও ২০-৩০ জনের একটা ছিনতাইকারী দল জড়িত আছে বলে জানান।

অন্য সূত্রে জানা যায় গাড়িটি যারা অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করেন, তাদের মধ্যে ফয়সাল নামের একজন রোহিংগা পূর্বের সিএনজির ড্রাইভার ছিলেন বলেও জানা যায়।
তার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন ফয়সালের বাবা রোহিংগা মোঃ ইউছুফ তারা কুতুপালং পুরাতন রেজিস্ট্রার এর বাসিন্দা।

এরপর গাড়ির জন্য মোবাইলে ০১৮২০৩০০২০৯৫ নাম্বারে ফোন করলে তারা উক্ত গাড়ির মুক্তিপণ হিসেবে ৪ লক্ষ টাকা দাবি করেন। এই খবর সিএনজি মালিক সমিতির শ্রমিক নেতারা জানার পরে টাকা দিতে অপারগতার কথা জানান। চাদা বা মুক্তিপণ দিতে অপারগতার কথা জানার পরে রোহিঙ্গা ডাকাতরা আজ ২৮/০৯/২০ বিকালে উক্ত ছিনতাইকৃত গাড়ির মালিক মোঃ জাফর আলম, পিতাঃ নাজির হোসেন, (যিনি কুতুপালং ৯ ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা) এ-র বাড়িতে ডাকাত রোহিংগা মুন্না বাহিনীর সদস্যরা আক্রমণ করে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার জিনিস পত্র নষ্ট করেন বলে জানান স্থানীয় সিএনজি সমিতির সভাপতি। এই খবর শ্রমিক নেতারা শুনলে তারা প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন শ্রমিক নেতা মাসুদ আমিন শাকিল সাধারণ সম্পাদক সিএনজি মালিক সমিতির কুতুপালং এবং সৈয়দ হোসেন সিএনজি মালিক সমিতির পরিচালক ও কুতুপালং এর সভাপতি। প্রতিবাদ সমাবেশের পরে সবাই যখন যার যার মত চলে যায়, ঠিক সেই মুহুর্তে সরাসরি মুন্না বাহিনীর সদস্যরা প্রায় ৫০-৬০ টি অস্ত্র নিয়ে কচুবনিয়ার সিএনজি অফিসে আক্রমণ করে সবাইকে অস্ত্র ঠেকিয়ে শাসায়ে যায়- এ ব্যাপারে কোন টু শব্দ করলে সবাইকে রোহিংগা ক্যাম্পে ধরে নিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করবে বলে হুমকিও দিয়ে চলে যায়। এই ব্যাপারে কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ মহোদয় এর কাছে শ্রমিক ও শ্রমিক নেতা কর্তৃক স্বারক লিপি দেওয়া হয় বলেও জানা যায়। তবে কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ কর্তৃক এখন ও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান শ্রমিক নেতারা।
শ্রমিক নেতারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন ছিনতাইকৃত সিএনজি ফেরৎ না পেলে, বাড়িঘরে হামলার উপযুক্ত ক্ষতি পূরণ না করলে, রোহিংগা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা না করলে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে, সিএনজি শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষনা করতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারন করেন।

সীমান্তবাংলা/ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০