মিয়ানমারের রাখাইনে আবারো বড় ধরনের অভিযানের আশংকা। উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে রাখাইনের অধিবাসীরা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০

সীমান্তবাংলাঃ  মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আবারো সেনাবাহিনীর বড় ধরনের অভিযানের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ আর তাতে বাংলাদেশের সীমান্তে এবার রোহিঙ্গা ছাড়া অন্য জাতিগোষ্ঠির ঢলও নামতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ বাংলাদেশকে এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী৷ এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এর প্রতিবাদ এবং সীমান্ত থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে বলা হয়৷ বাংলাদেশের শক্ত অবস্থানের পর সীমান্ত থেকে মিয়ানমার সৈন্য সরিয়ে নিয়েছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান, বিজিবির মুখপাত্র লে. কর্নেল সাইদুর রহমান৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সীমন্তে এখন আর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা নাই৷ তারা সীমান্ত এলাকা ছেড়ে চলে গেছে৷ তবে রাখাইনের ভেতরে তারা কী করছে সেটা আমরা জানি না৷ এটা গোয়েন্দারা ভালো বলতে পারবেন৷’’

এই বিজিবি কর্মকর্তা জানান, ‘‘সীমান্তের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে৷ সীমান্ত বলতে আমাদের দিক থেকে আমরা যতটুকু দেখতে পাচ্ছি তা স্বাভাবিক৷’’

একাধিক সূত্র জানায়, সীমান্ত থেকে তারা সরে গেলেও এক কিলোমিটার দূরেই তারা অবস্থান করছে৷ রাখাইনে সৈন্য সমাবেশও অব্যাহত রয়েছে ৷ ২০১৭ সালে শুরু হওয়া ক্লিয়ারেন্স অপারেশন সেখানে এখনো চলছে৷ মিয়ানমারে ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে এই অপারেশন আরো জোরদার হচ্ছে৷
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে এখনো চার হাজারের মত রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন৷ তারা ২০১৭ সালের পর থেকেই সেখানে আছেন৷ নো-ম্যানস ল্যান্ডের রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, ‘‘মিয়ানমার সেনাবাহিনী সীমান্তের এক-দেড় কিলোমিটারের মধ্যে এখন আর নাই৷ তারা এর বাইরে অবস্থান করছে৷ আমাদের কাছে যে খবর রয়েছে তাতে তারা অভিযান বন্ধ করেনি৷ সৈন্য আরো বাড়াচ্ছে।

তিনি জানান, ‘‘আমরা সেখানে অবস্থানরত আমাদের স্বজনদের কাছ থেকে যে খবর পাচ্ছি তাতে রোহিঙ্গাদের মুভমেন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ তাদের ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া হচ্ছে না৷ সেখানে যুদ্ধের ট্যাংক নিয়ে আসা হচ্ছে৷ আমরা আতঙ্ক আর উদ্বেগের মধ্যে আছি৷’’

সুত্রঃ ডি ডব্লিউ