কারাগারে জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা নেই: র‌্যাব

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০

সীমান্ত বাংলা ডেস্ক : বোমা মেরে কারাগার উড়িয়ে দিয়ে সাথী ভাইদের ছিনিয়ে নেয়ার যে হুমকি জঙ্গিরা দিয়েছে সেটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছে র‌্যাব। কারাগারে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা করছে না এলিট ফোর্সটি। যারা এই ধরনের ‘হুমকি দিয়ে’ চিঠি দিয়েছে তাদের সাংগঠনিক কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে র‌্যাব। তবে সবকিছুর জন্য তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

সম্প্রতি লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়ার হুমকির বিষয়ে বুধবার ঢাকা টাইমসের সঙ্গে কথা বলেন র‌্যাবের মুখপাত্র।

গত সপ্তাহে লালমনিরহাট জেলা কারাগারের জেল সুপার ও জেলা প্রশাসককে একটি উড়ো চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে কারাগার উড়িয়ে দিয়ে সাথী ভাইদের ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। চিঠিটি আমলে নিয়ে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। হুমকির ঘটনায় দেশের সব কারাগারকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি কারাগারে বন্দী ‘জঙ্গি, আইএস, শীর্ষ সন্ত্রাসী, বিডিআর ও বিভিন্ন সংবেদনশীল মামলায় আটক বন্দিদের চলাচল ও গতিবিধি কঠোরভাবে নজরদারির নির্দেশও দেয়া হয়।

র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘কোন কারাগারে কোন জঙ্গি অবস্থান করছে, সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে। কারাগারে থাকাকালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। তাছাড়া আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জঙ্গিরা কারাগার থেকে ছাড়া পেলে তাদেরকে সবসময় নজরদারিতে রাখা হয়। সামগ্রিক প্রেক্ষপটে বর্তমানে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা করছি না। তবে সবকিছুর জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’

লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘দেশে যে ধরনের জঙ্গিবাদ আছে এগুলো অত্যন্ত বিচ্ছিন্ন এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তাদের সাংগঠনিক কোনো ভিত্তি নেই। অর্থাৎ, বর্তমানে তাদের (জঙ্গি) যে ধরনের কর্মকাণ্ড তা একেবারেই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ছাড়া কিছু না। হুমকির ঘটনায় কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্পষ্ট করে বলতে চাই, কেবল কারাগারই না, দেশের সকল কেপিআই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু কারাগার একটি কেপিআই, অন্য সব কেপিআইসহ কারাগারের প্রতি আমরা যথেষ্ট নজরদারি চালাই।’

২০১৪ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে দিনে-দুপুরে প্রিজন ভ্যানে গুলি চালিয়ে ও বোমা মেরে জঙ্গি মামলার তিন আসামিকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। তাই লালমনিরহাটের হুমকিকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের সব কারাগারে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

তারা বলছে, প্রতিটি কারাগারে একজন ডেপুটি জেলার, একজন প্রধান কারারক্ষী ও পাঁচজন কারারক্ষীর সমন্বয়ে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করে সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকতে হবে। কারাগারের বাইরের গেটে দায়িত্ব পালনকারীদের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট নিশ্চিত করে আগতদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা, ডিউটিতে সশস্ত্র সেন্ট্রি নিয়োগ করা, অস্ত্র ও অস্ত্রাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কারাগারের অস্ত্রাগার থেকে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে যেন দ্রুত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় মহড়া আয়োজন করতে হবে। পাশাপাশি কারাগারের চারপাশের সীমানাপ্রাচীর সুরক্ষিত রেখে এবং অ্যালার্ম সিস্টেম পরীক্ষা করে প্রস্তুত করে রাখতে হবে।

ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/এড‌মিন ইব‌নে