ভারতীয় সীমান্তে মানুষ হত্যা নিয়ে সরকারের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ব, অভিযোগ রিজভীর।

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০

সীমান্তবাংলাঃ  ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাহিনী বি এস এফ কতৃক বাংলাদেশিদের হত্যা নিয়ে সরকারের ‘নিশ্চুপ’ ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রবিবার সকালে ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলনের প্রতি ইঙ্গিত করে দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ তোলেন।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মরণে মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রদানে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানটি বাড্ডার একটি মাদ্রাসায় হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশের বাধার কারণে এটি নয়া পল্টনের কার্যালয়ে হয়।
অনুষ্টানে রিজভী বলেন, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি করুন অবস্থা, দেশের সার্বভৌমত্ব এত দুর্বল যে আপনার প্রায় দুইদিন-তিন দিন পর বর্ডারে তারা মানুষ হত্যা করছে, দেশের মানুষ রক্তাক্ত হচ্ছে। আজ পর্যন্ত ৩৩ জনকে হত্যা করেছে (ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী)। পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে সীমান্ত অঞ্চল হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের এই সীমান্ত। আপনি এতো নতজানু সরকার যে একটা প্রতিবাদও করতে পারছেন না এটার জন্য।’

সকালে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় বাংলাদেশ-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পরে স্থগিত হয়েছে বলে বিজেবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

রিজভী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে চাপাই নবাবগঞ্জের বর্ডারে একজন গুলিবিদ্ধ হচ্ছে, সুনামগঞ্জের বর্ডারে একজন গুলিবিদ্ধ হচ্ছে, না হলে লারমনিরহাটের বর্ডারে একজন গুলিবিদ্ধ হচ্ছে, না হলে মেরে ফেলা হচ্ছে।’

রিজভী আরও বলেন, আপনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থাকলে সীমান্তে মানুষ মারা যায় কিনা? অর্থাৎ এই কথাটার মধ্যে আপনাদের যে আনুগত্য কত হেয় টাইপের এটা অত্যন্ত সুস্পষ্ট।

বিএনপি সব দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির নীতি হচ্ছে, পার্শ্ববর্তী দেশ, দূরবর্তী দেশ সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাথতে চায়। কিন্তু নিজের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করে নয়। কিন্তু শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য নিজের দেশের স্বার্থকেও তিনি বিসর্জন দিচ্ছেন। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক।’

সীমান্তবাংলা ডেস্ক/ ম শা/ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০