কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী নির্মান কাজে দীর্ঘসুত্রিতা। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিয়মান প্রকল্পটি দীর্ঘ এক যুগেও সমাপ্তির চোখ দেখেনি।

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০

মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদের ফেসবুক ওয়াল থেকেঃ

ককসবাজার পাবলিক হলের ২ তলার টিনশেড ভবনটি নির্মান করতে যে টিকাদারের ১৩ বছর লেগেছে ও বুঝিয়ে দিতে কত যুগ লাগে আল্লাহ জানেন , তাকে তাজমহল নির্মান করতে দিলে কত বছর লাগত ?
ককসবাজার ইনি‌ষ্টি‌টিউট ও পাব‌লিক লাই‌ব্রেরীতে উন্নয়নের মূলা ঝুলিয়ে গত ১৩ বছর সংস্কৃতি ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা বন্ধ করে রেখেছে নব্য রাজাকারেরা !
২০০৭ সালে ককসবাজার পাবলিক লাইব্রেরী নির্মানের নামে হরিলুট সিন্ডিকেট ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে সবাই মিলে ভাগ করার গল্প বহু আগের। তাই ১৩ বছরেও আর ভবনটির কাজ সম্পন্ন হয়নি, ঠাই দাড়িয়ে আছে। এই লুটপাটকারীদের কাছে সংস্কৃতি বা সংকৃতিক কর্মী কখনো নিরাপদ নয়, অথচ এরাই সংস্কৃতির ধ্বজাধারী।
আদর্শবান দেশপ্রেমিক হতে না পারলে সংস্কৃতিক নেতা হওয়া সম্ভব নয়। বরং এসব ফিউজ বাল্বের মত হোল্ডার দখল করে রাখে বলে সর্বত্র অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। যা গত ১৩ বছর ধরে সমগ্র ককসবাজারের মানুষ প্রতক্ষ্য করছে।
প্রথম ছবিটি বর্তমান ও দ্বিতীয় ছবিটি নীল নকশার প্রথম ধাপ, যা সাবেক ত্তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীকে ভুল বুঝিয়ে হাতিয়ে নিয়েছিল চক্রটি। যদি তিনি বুঝতে পারতেন যে এরা সংস্কৃতি রক্ষার নয় সংস্কৃতি কে পুজি করে নিজেদের আকর গোছাতে এই কুকর্ম করছে তবে কখনো তিনি নিজ হাতে এত বড় ভুল করতেন না !

নির্বাচনে নিজেদের পরাজয় সুনিশ্চিত জেনেই যুগ যুগ ধরে একটি প্রতিষ্টান আমলাদের হাতে তুলে দিয়ে, তাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পাবলিক হল কে বাপ দাদার সম্পত্তির মত কারা ব্যবহার করছে তা সবাই জানে। কিন্তু সবার দোষ একটাই “ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি “……..
মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের দুর্লভ হাজা‌রো মহা মূল্যবান বই কেন উই পোকার আহা‌রে প‌রিনত করা হল ? যাতে রাজাকার আর ভন্ড মুক্তিযোদ্ধাদের চিনতে না পারে তাই ?
‌জেলার সাংস্কৃ‌তিক কর্মকান্ড কে স্তব্ধ করার পাশাপা‌শি হাজা‌রো প্রগতীশীল সাংস্কৃ‌তিক কর্মী সৃ‌ষ্টি‌তে কা‌দের এত ভয় ?
মুক্ত চিন্তার সৃজনশীল মান‌সিকতা বিকা‌শে কা‌দের এত ভয় ?
জনগনের প্রতিষ্টান আমলাদের দ্বারা আর কত কাল চালাবেন ?
নব নি‌র্মিত ভবন ও অ‌ডিট‌রিয়া‌মের নির্মান কাজ শেষ কর‌তে আর কতকাল লাগ‌বে ?
পাবলিক হলের সীমানার ভেতর ব্যাক্তিমালীকানাধীন প্রতিষ্টান জায়েজ করতে হচ্ছে তাই বুঝি ?
হাজার হাজার গল্প প্রবন্ধ উপন্যাস সময়ী‌কি পান্ডু‌লি‌পি ও দুর্লভ পত্রপ‌ত্রিকা ও মু‌ক্তিযু‌দ্ধের ইতিহাস ধ্বংস হ‌লে কার লাভ ?
লাই‌বেরীর প্র‌তি‌টি কক্ষ কি পূ‌র্বে যে স্বাধীনতা সংগ্রা‌মে আত্নদানকারী ও মহান পুরুষ‌দের না‌মে ছিল তা কি হুবহু থাক‌বে ?
পাবলিক লাই‌ব্রেরীর প‌রিচালনা পর্ষদ গঠ‌নে আদৌ কোন নির্বাচন হ‌বে কিনা ?
পুর‌নো সব রেকর্ড ও দ‌লিল দস্তা‌বেজ এবং দুর্লভ বইগু‌লো নষ্ট হ‌য়ে গে‌লে তার দ্বায় নি‌বে কে?
হাজা‌রো প্রশ্ন যে কেউ কর‌তে পা‌রে, কিন্তু উত্তর দি‌বে কে ? #কোন_জাতিকে_ধ্বংস_করতে_চাইলে_তাদের_পাঠাগার_গুলো_ধ্বংস_করে_দাও “।
তেমনি কু পরিকল্পনা নিয়ে ককসবাজার পাবলিক লাইব্রেরী ও পাবলিক হল সংস্কার , উন্নয়ন ও নির্মানের নামে গত ১৩ বছর ধরে সকল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে রেখেছে সংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্বের আড়ালে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র । তাছাড়া পাবলিক লাইব্রেরীর হাজার কোটি টাকা মূল্যের বই সমূহ বার বছর ধরে কোথায় কিভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে তা কেউ জানেনা। পরিকল্পিতভাবে ককসবাজারের আগামী প্রজন্মকে সংস্কৃতিবিমুখ ও মেধাশূন্য করার কু মতলব নিয়ে সংস্কৃতির ধারক বাহক পরিচয় দানকারী কতিপয় ভন্ড, প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের দালালরা প্রতিষ্টানটিকে ধ্বংসের মহা পরিকল্পনা থেকে মূলত উন্নয়নেন নামে বন্ধ করে রেখেছে। অথচ এরাই যুগে যুগে সংস্কৃতির নামে ব্যবসা করে আসছে, এমনো শোনা যায় সাংস্কৃতিক কর্মীদের ব্যবহার করা হয়ে থাকে মনোরঞ্জনের মাধ্যমে আপন স্বার্থসিদ্ধির জন্য।
ককসবাজার ইনিষ্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরীর পাঠাগারের হাজারো মূল্যবান বই, স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, আন্তর্জাতিক দূস্প্রাপ্য মূল্যবান শত শত বই ও হাজার হাজার সাহিত্য, উপন্যাস, প্রবন্ধ সহ বিভিন্ন মুক্ত বুদ্ধির চর্চার উপযুক্ত বইগুলো বেহাত করে ধ্বংসের মতলব থেকে প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের দালাল সংস্কৃতিবানরা মুখোশের আড়ালে জগন্য কাজটি সু কৌশলে বাস্তাবায়ন করেছে। তারা উন্নয়ন ও সংস্কারের নাম ভাঙ্গিয়ে পাবলিক লাইব্রেরী ও মিলনায়তন কে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এতে সংস্কৃতিক বিকাশ শুধু রুদ্ধ হয়নি বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মতের মিলন স্তল ছিল এটি। প্রতিটি সন্ধ্যায় যেখানে প্রানের বন্যা বইত কবিতা গল্প নাটক ছড়াগান সহ হাজারো পসরার সেখানে আজ মৃত্যুপুরী যেন। মাতাল নেশাখোরদের আড্ডা, পতিতাদের হৈ চৈ ছাড়া আর কিছু খুজে পাইনা।
তাই হাজার বছরের বাংলা সাহিত্যের বিশাল বই এর ভান্ডার সংরক্ষন ও তা বর্তমান প্রজন্মের সহজ প্রাপ্তি নিশ্চিৎ করতে অবিলম্বে পূর্নাঙ্গ পাঠাগার চালু করুন এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে পাবলিক লাইব্রেরীকে অবিলম্বে জনসাধারনের নিকট হস্তান্তর করুন। সংস্কৃতির বিকাশ কে তরান্বিত করার পাশাপাশি মাদকের করাল গ্রাস থেকে তারুন্যকে ফেরাতে সাংস্কৃতিক জাগরনের বিকল্প নেই।
সংস্কৃতি রক্ষার নামে প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের হাত থেকে ককসবাজারের মাটি ও মানুষের প্রান স্পন্ধন পাবলিক লাইব্রেরীকে বাঁচান।

( মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়)