উখিয়ার ধইল্ল্যা ঘোনায় বনজমিতে ভূমিদূস্যু কামালের দালান নির্মাণ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০

এন আলম আজাদ,কক্সবাজার: কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া সদর বিটের অধীন সরকারের রক্ষিত অরক্ষিত বনভূমি প্রভাবশালীদের কাছে বেহাত হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত রেঞ্জাধীন বিভিন্ন বিটের বনজমি অসাধু চক্র দখল করলেও সরকারী সম্পদ রক্ষাকর্তারা বনজমি উদ্বারে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সচেতন মহল বন কর্তাদের কাছে একাধিক অভিযোগ দেয়ার পর পরির্দশন নাটক সাজিয়ে দায় সারলেও পরে বেমালুম ভূলে যান। ভাবখানা এমন মামলা কিংবা বন আইন প্রয়োগে ঠোটু জগন্নাথ তারা।

জানাগেছে, বনকর্তাদের একটি অসাধু সিন্ডিকেট মোটা অংকের বখশিস পেয়ে বনজমি দখল চক্রকে নিয়মিত উৎসাহ দিচ্ছে। তাদের আস্কারায় ধইল্ল্যা ঘোনার নুরুল ইসলামের পূত্র কামাল উদ্দিন নির্বিচারে পাহাড় কেটে সেখানে দালানকোঠা উঠানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে।সরকারি বন জমিতে এ কাজ করতে গিয়ে কামাল উদ্দিন পাহাড় ও তৎ সংলগ্ন বনাঞ্চলের যতেষ্ট ক্ষতি করেছে এ অভিযোগ স্হানীয় প্রত্যক্ষ দর্শীদের।

সরকারি বন জমিতে স্হাপনা উঠানোর এ অবৈধ কাজে দখলবাজ কামাল উদ্দিনকে ইন্ধন যুগিয়েছে সদর বিটের বনকর্মী দেলোয়ার হোসেন ও ভিলেজাররুপী কালা সোনা।তারা কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সদর বিট কর্মকর্তা বজলুর রহমানকে ম্যানেজ করেই সরকারি জমি বেদখলের এ কান্ড ঘটিয়েছে। এ বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ ফার্নিচার ব্যবসায়ী, স মিল মালিক, সংঘবদ্ধ কাঠ পাচারচক্র ও মাটিবালু পাচার সিন্ডিকেটের সাথে ভাল সখ্যতা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ সম্পর্কের বিরুপ প্রভাব পড়ছে সরকারি বনাঞ্চল ও বন ভূমিতে।অসাধু চক্র প্রতিদিনই বনজ সম্পদ ধ্বংসে উম্মাত।বন বাগান নিঃশেষের পাশাপাশি বনজমি দখলের হিড়িক পড়েছে সেখানে। তাদের এমন তৎপরতায় উখিয়ার সহকারী ভূমি কমিশনারও উদ্বেগে বিচলিত। তিনি ইতিপূর্বে এসব অঞ্চল পরির্দশন করতে গিয়ে রক্ষাকারী কর্মকর্তাদের কঠোর সমালোচনাও করেছেন।

পরিবেশবাদী সচেতন মহল বনজ সম্পদ রক্ষায় বনজমিতে স্হাপনা উঠানোর এ প্রক্রিয়া দ্রুত তদন্ত পূর্বক বন আইনে কঠোর ব্যবস্হা প্রত্যাশা করছে বন বিভাগের উবর্ধতনদের কাছে।