সেবা সংস্থার প্রতারনা এবং রো‌হিঙ্গা সন্ত্রাসী‌দের অপকর্ম ব‌ন্ধে উ‌খিয়ায় মানববন্ধন

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২০

সীমান্ত বাংলা প্রতি‌বেদক : উখিয়া পালংখালীতে এনজিওর প্রতারণা ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্তৃক কর্মকান্ড বন্ধ স্থানীয়দের চাকরি অগ্রাধীকার, ও শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে মানবন্ধন করেছে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি৷

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর), সকাল ৯টায় পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী স্টেশন প্রাঙ্গনে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সংগঠণের সদস্যসহ হাজারো মানুষের ঢল নামে৷

মানববন্ধনে রিদুয়ানুল আজিজের সঞ্চালণায় বক্তব্য রাখেন পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী,পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ নেতা এম.এ মঞ্জুর, ছত্রনেতা আনোয়ারুল হোসাইন, এডঃ আব্দুল মালেক, অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিয়ার রবিউল হাসানসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন৷ তারা বলেন, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর কর্তৃক নির্যাতনের মুখে পালিয়া আসা উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছে।

বিপুল জনসংখ্যার চাপে স্থানীয় জনগৌষ্ঠীর স্বাভাবিক জীবন যাত্রাও কর্মসংস্থানের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্রোতের মত আসা রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় জনসাধারণের জীবন নানা দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্থের সম্মুখীন।

এদের চাপে কৃষি জমি,বন,সার্বিক নিরাপত্তা, শ্রমবাজার এবং শিক্ষাসহ স্থানী মানুষের জীবন নানা দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত।

স্থানীয় শ্রমবাজারে রোহিঙ্গারা সস্তায় কাজ করার কারণে স্থানীয়দের আর কাজ জুটছে না,এরকম নানা সমস্যায় স্থানীয়দের মধ্যে বাড়ছে তিক্ততা।মানববন্ধনে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি  ৭ দফা দাবি উল্লেখ করেন৷

(১) ইউএন ( জাতিসংঘ) অর্গনাইজেশন বা এনজিওগুলো তাদের বাজেটের ৩০ শতাংশ স্থানীয়দের উন্নয়নে ব্যয় করার যে ঘোষণা দিয়েছে সেই অনুযায়ী কাজের সঠিক বাস্তবায়ন এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

(২)সরকারের নিদর্শনা অনুসারে রোহিঙ্গা পোগ্রামে এনজিওর চাকরিতে স্থানীয় জনগণের যে ৭০% কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ নং পালংখালী স্থানীয় জনগৌষ্ঠীর জন্য তা নিশ্চিত করতে হবে।

(৩) নিয়োগ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল করতে হবে।

(৪)মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের উৎসাহিত করতে এনজিওদের বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে।

(৫)স্থানীয় জনগৌষ্ঠীর কোটায় অথবা আওতাধীন করে হবে তার ম্যাপ/ সীমানা নির্দিষ্ট করতে হবে।

(৬)এনজিওতে চাকরির জন্য প্রতিটি অফিসে সরাসরি আবেদন গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে।

(৭)ইউনিয়নের স্থানীয় জনসাধারণের জন্য আধুনিক মানের হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে এবং ইমার্জেন্সি রোগীর জন্য ২৪ ঘণ্টা ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থা করতে হবে।

মানববন্ধনশেষে পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী ৭ দফা দাবিকে সমর্থন করে বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে আমার ইউনিয়নের সর্বক্ষেত্রের জনসাধারণ বিভিন্ন দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতারিত হয়েছে বিভিন্ন এনজিও থেকেও,তাদের ৭ দফা দাবি ফিরিয়ে দেওয়া হউক৷