কামারদের হতাশা টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে সিরাজদিখান কামারপাড়া

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২০

টিটু মোল্লা,সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সিরাজদিখানে কামার পাড়াগুলো টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সবকটি কামার পাড়ায় চলছে কুরবানির পশু জবাই, মাংস কাটা এবং চামড়া ছিলানোর কাজে ব্যবহৃত চাপাতি, দা, ছুরি আর বটি তৈরির কাজ।

ধারালো এই পণ্যগুলো তৈরি করতে লোহাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন কামার শিল্পীরা। ক্রেতাদের চাহিদামতো তৈরি করতে শিল্পীরা মাথার ঘাম পায়ে পেলে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাদের নিজ হাতে লোহা পিটিয়ে টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে প্রতিটি কামারপাড়া।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে উপজেলার,রাজানগর বাজার,সিরাজদিখান বাজার, নিমতলা বাজার, ইছাপুরা বাজার, তালতলা বাজার, শেখরনগর বালুচর বাজারের কামার শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন তাদের ব্যস্ততা বেড়েই চলছে। নিজেদের তৈরি এসব পণ্য উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে সরবরাহ করছেন তারা। ঈদুল আজহার অন্যতম উপসঙ্গ হচ্ছে পশু জবাই করা।আর জবাই করার অন্যতম উপাদান এসব ধারালো হাঁতুড়ি পণ্য। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কুরবানির সময়টাতে কাজের চাপ অনেক বেড়ে যায় কামার শিল্পীদের। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় তাদের আয়-রোজগারও। বছরের অন্যান্য সময়ে কামারদের দুর্দিন থাকলেও ঈদ এলেই যেন তারা সুদিনের দেখা পান। কোনরূপ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই পৈত্রিক পেশা হিসেবে কামার শিল্পীরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। বাধ্য হয়ে অনেকেই আবার পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।

উপজেলার বালুচর বাজারের কামার শিল্পী কাসেম ভান্ডারী বলেন,আমার বাড়ি মোল্লাকান্দি বালুচরে এই কামার শিল্পের সাথে আমার কয়েক পুরুষ জড়িত।বালুচর বাজার যতদিন ধরে হয়েছে ততদিন যাবত আমি এখানে আছি। দেশে করোনার কারণে এবার আগের মতো আমাদের তেমন ব্যস্ততা নেই বল্লেই চলে গত বছরও এই সময়টাতে পানি খাওয়ার সময় পাইনি কিন্ত এবার তেমন তোরজোড় নেই। সারা বছর তৈরি করা পশু জবাইয়ের এসব পণ্য ঈদ মৌসুম ছাড়া বিক্রি হয় না। তাই ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা একটু বেড়ে যায় প্রতিবছর কিন্ত মহামারী করোনার কারণে এবারে একেবারে ব্যস্ততা নেই।