বাঁশখালীতে ৬৮ বছর বয়সী বৃদ্ধার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি মামলা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২২

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
বাঁশখালীতে ৬৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাসহ তার দুই পুত্র-কন্যার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জায়গা দখলের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। মামলার বাদী সাইদুর রহমান বাঁশখালী পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতা।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদা আকতারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট নাজমুল আলম।

সাইদুর রহমান বাঁশখালী পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের নুরুন্নবীর পুত্র। মামলায় ফরিদার ছেলে ছমুদুল হক ও মেয়ে সুমি বেগমকেও আসামি করা হয়েছে।

জানা যায়, দীর্ঘ ৭০ বছরেরও বেশী সময় ধরে ফরিদা আকতার ও তার পরিবার বন্দোবস্তি লীজ মুলে ওই জায়গায় বসবাস করে আসলেও মামলাটিতে ফরিদা আকতার ও তার পুত্র কন্যাদের বিরুদ্ধে জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ নভেম্বর ফরিদা আকতারের জায়গা জবর দখল চেষ্টা ও গাছপালা কেটে বাঁশখালী পৌরসভার জঙ্গল জলদী আমিরাঘোনা এলাকার প্রায় ৫ কানি জায়গার উপর ঘরবাড়ি ভেঙে শত শত গাছপালা কেটে তান্ডব চালানো হয়। এ ঘটনায় ফরিদা আকতার হাইকোর্টে গত ১ ডিসেম্বর রিট পিটিশন নং ১৪৯৯৩/২২ দায়ের করেন। রিট শুনানি শেষে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিগত ১১ ডিসেম্বর তারিখে উক্ত জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এতে ভূমি সচিব, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সার্ভেয়ারসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরও বিরোধপূর্ণ ওই জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

অভিযোগে মামলার বাদী সাঈদুর রহমান উল্লেখ করেন, বজলুর রহমানের মালিকানাধীন ১ কানি ৫ গন্ডা জমির খরিদা সুত্রে বর্তমান মালিক সাঈদুর রহমান। ওই জায়গা তিনি বুঝে পেয়েছেন। এখন ফরিদা ওই জায়গার জন্য তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। গত ২০ ডিসেম্বর জায়গা সার্ভে করতে গেলে তিনি ও তার লোকজনের উপর হামলা করা হয়েছে।

এই মামলার বিবাদী ও হাইকোর্টের রিট মামলার বাদী ফরিদা আকতার বলেন, সাঈদ ও তার লোকজন আমার জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখন আমার বিরুদ্ধে এই মামলা দিয়েছে। আমার মামলায় হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা দিলেও তারা জোর করেই আমার জায়গার উপর কাজ অব্যাহত রেখেছে।