হাজীপুর ইউপি সদস্য হত্যা মামলায় পিন্টু চেয়ারম্যান কারাগারে

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২

মোঃ খায়রুল ইসলাম :

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নরসিংদীতে প্রকাশ্যে সাবেক ইউপি সদস্য সুজিত সূত্রধরকে (৫৩) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফসুফ খান পিন্টুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক মোস্তাক আহাম্মেদের আদালতে হত্যা মামলায় জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে অভিযুক্তদের কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন।

অভিযুক্ত ইউসুফ খান পিন্টু হাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান। ২০০৬ সালে হাজীপুর ইউনিয়নের তৎকালিন বিএনপির চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সরকার ও তার ভাই রিপন সরকারকে প্রকাশ্যে নিহতের বাড়ির সামনে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে পিন্টু ও তার সমর্থকরা।

জোড়া হত্যা মামলার ঘটনায় ইউসুফ খান পিন্টুর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত সুজিত সুত্রধর ইউপি সদস্য থাকা কালিন সময়ে পরিষদের চাল ও গম বিতরনের অনিয়মসহ নানা বিষয়ে হাজীপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টুর সাথে বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে পিন্টু চেয়ারম্যানের নামে একাধিক মামলা করেন নিহত সুজিত সুত্রধর। মামলার জের ধরে সুজিতের উপর একাধিক বার হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এরই মধ্যে গত ২২ জুন সন্ধ্যার পর ইউপি সদস্য সুজিত সূত্রধর বাড়ি থেকে হাজিপুর কাঠবাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। দোকানে ছেলের সঙ্গে ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করেন। রাত ৮টার দিকে পিন্টুর ভাই মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য সুজিত সুত্রধরের উপর হামলা চালায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা সুজিত মেম্বারকে এলোপাথারী কুপাতে থাকে।

ওই সময় নিহতের ছেলে সুজন সূত্রধর ও দোকানের কর্মচারীরা তাদের বাধা দিতে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। পরে আহত সুজিত মেম্বারকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসত তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ঘটনায় হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফসুফ খান পিন্টুকে প্রধান আসামী করে ১৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে সুজন। এরই প্রেক্ষিতে আজ সোমবার অভিযুক্তরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আগাম জামিন নিতে আসেন। সকাল ১১টার দিকে বিচারক মোস্তাক আহাম্মেদের আদালতে হত্যা মামলায় জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে অভিযুক্ত হাজিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইফসুফ খান পিন্টু ও তার ভাই মনিরুজ্জামান খান কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ প্রধান করেন।

কোর্ট ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ইউপি সদস্য হত্যা মামলায় চেয়ারম্যানসহ দুইজন আগাম জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলার বাদি নিহতের ছেলে সুজন সূত্রধর জানিয়েছেন, জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর এজলাস থেকে বের হয়েই ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মনিরুজ্জামান খান আমাকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন। একই সাথে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়াসহ আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। ওই সময় গণমাধ্যম কর্মীরা ছবি তুলতে গেলে তাদেরকেও দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।