ডেস্ক নিউজ ;
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলেকে অস্ত্র আইনের মামলায় দুই ধারার ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে উল্লেখ করায় আসামীকে ১৫ বছর জেল কারান্তরীন থাকতে হবে বলে বলা হয়েছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০২১) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষনা করেন। এদিন রায় ঘোষণার সময় কারাগার থেকে মালেককে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেন আদালত। গত ৯ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান আব্দুল মালেক। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের গাড়িচালক মালেক সরকারি গাড়ি চালক সমিতির সভাপতি ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মচারী সমিতির সভাপতি হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য ও জাল টাকার ব্যবসা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অবৈধ সম্পদের মালিক বনে যান । তার বাসায় এসব কাজে ব্যবহৃত পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও এক লাখ ৫০ হাজার জাল টাকা পাওয়া যায়। সেসময় অস্ত্র আইনের দুটি ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেককে গ্রেফতার করে র্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় র্যাব-১-এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।
সীমান্তবাংলা / ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১