সোলাইমানির জানাজায় কাঁদলেন খামেনি ও রুহানি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২০

বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ বাকি নিহতদের নামাজের জানাজা ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

নিহতদের জানাজার নামাজ পড়ান ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনী। সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিসহ শীর্ষ সব কর্মকর্তারা। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলো দেশটির কয়েক লাখ জনতা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানাজার সরাসরি সম্প্রচার করে।

নামাজে জানাজা আদায়ের সময় দেশটির সর্বোচ্চ নেতা খামেনি ও প্রেসিডেন্ট রুহানিকে কাঁদতে দেখা যায়। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সেনাকর্মকর্তার জানাজায় শীর্ষ দুই ব্যক্তির কান্নার ভিডিও এরইমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এছাড়া বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটেও ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও।

এর আগে জানাজায় অংশ নিতে ভোররাত থেকে লাখ লাখ মানুষ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আসতে থাকেন।

এ সময় জনতার হাতে জেনারেল সোলাইমানি ও আবু মাহদি আল-মুহান্দিসের ছবি শোভা পাচ্ছিল। তারা ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক’, ‘আমার ভাইকে যারা মেরেছে তাদেরকে হত্যা করব’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে অনেকে নিজেদের শিশুসন্তান নিয়ে জানাজায় অংশ নেন। এর আগে গতরাতে সোলাইমানির মরদেহ মাশহাদ থেকে তেহরানে এসে পৌঁছায়। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জানাজার নামাজ শেষে ইরাকে মার্কিন হামলায় নিহত সোলাইমানিসহ বাকি সেনা কর্মকর্তাদের মরদেহ ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে ধর্মীয় নগরী কোমে নেয়া হবে।

কোম নগরীতে সোলাইমানির জানাজার নামাজ শেষে তার জন্মস্থান কেরমান প্রদেশে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তার শেষ জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হবে।

শুক্রবার ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদ্স ফোর্স কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যু হয়। এসময় তার সঙ্গে থাকা ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহাদি আল-মুহান্দিসসহ অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়।