সীম জালিয়াত চক্রের ৫ সদস্যকে ২০৪ টি অবৈধ সিমকার্ডসহ আটক করেছে র‍্যাব।

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২২

কফিল উদ্দীন আনু ;

র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে সীম জালিয়াতি চক্রের ৫ সদস্য ও ২০৪ টি অবৈধ সীমকার্ড জব্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বস্থ একটি সুত্রে র‍্যাব জানতে পারে যে, কক্সবাজারে একটি সীম জালিয়াতি চক্র অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত সিমকার্ড বিক্রি করছে এবং বিভিন্ন মানুষজন তা ব্যবহার করছে। যার ফলে ওইসব সিমকার্ড ব্যবহার করে অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করছে এবং তাদের পরিচয় পেতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেগ পেতে হচ্ছে। উক্ত বিষয়টি র‌্যাবের নজরে আসার পর র‌্যাব উল্লেখিত চক্রটিকে সনাক্ত এবং গ্রেফতারের উদ্দ্যেশ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় ব্যক্তি কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন পৌরসভাস্থ দি কক্স সিটি সুপার মার্কেটের সামনে অবৈধভাবে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নিবন্ধনকৃত সিম বিক্রি করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি বিশেষ টিম বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে এবং (২৩ জুলাই ২০২২) রাত ৮ টার দিকে উল্লেখিত স্থান হতে অবৈধভাবে নিবন্ধিত ২০৪ টি সিমকার্ডসহ ১) পাহাড়তলীর মোঃ জামালের পুত্র জাহিদ(১৯), ২) সদরমোকাম কক্সবাজারের খোরশেদ আলমের পুত্র মোঃ ফারুক (১৯), ৩) খাজা মঞ্জিল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র মোঃ ইলিয়াস (২৭), ৪) সদর হসপিটাল রোড, বঙ্গপাহাড় এলাকার কালিপদ সাহার পুত্র সুজন সাহা (৩০), ৫) হরিজনপাড়া, হাসপাতাল রোড, ০৯ নং ওয়ার্ডের জীবন বিশ্বাসের পুত্র ( মূলহোতা) জয় বিশ্বাস (২৪) (মূলহোতা) কে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কক্সবাজারের অবৈধভাবে সিমকার্ড বিক্রির মূলহোতা জয় বিশ্বাস স্বীকার করে যে , সে দীর্ঘদিন একটি টেলিকম অপারেটরে চাকুরী করতো এবং সেখান থেকে একটি সিমকার্ড কিভাবে অবৈধভাবে সচল ও ব্যবহার করা যায় সেই ধারনা নেয়। তার এক সহকর্মী (ব্যাচমেট) চট্টগ্রামের একটি টেলিকম কোম্পানীতে বর্তমানে চাকুরীরত আছে এবং সে চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ পন্থায় সিমকার্ড সংগ্রহ করে তা কক্সবাজারের জয় বিশ্বাস এর নিকট পাঠাতো ও জয় বিশ্বাস কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় এগুলো চড়াদামে বিক্রি করতো।

অবৈধভাবে সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, টেলিকম কোম্পানীতে চাকুরীরতদের (চক্রের সদস্য) নিকট কোন গ্রাহক সিমকার্ড পরিবর্তন করতে আসলে তাদের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে যেকোন একটি সমস্যা দেখিয়ে ২য় বারও আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সিমকার্ড পরিবর্তন করে দেয়া হতো। অতঃপর গ্রাহকদের ১ম বার আঙ্গুলের ছাপ তাদের সংগ্রহে রেখে অন্য একটি সিমকার্ড ওই গ্রাহকদের নামে রেজিস্ট্রেশন করতো এবং তা মোটা অংকে বিক্রি করতো।

গ্রেফতারকৃত অবৈধ সিম জালিয়াতি চক্রের আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় র‍্যাব -১৫।