সীমান্তের মাদক কারবারি আলমগীর- জাহাঙ্গীরের রাম রাজত্ব,  গ্রেফতারের দাবী স্থানীয়দের

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা তুমব্রু উলুবনিয়া পাড়ার নুরুল কবিরের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমগীর দুই ভাইয়ের চলছে রাম রাজত্ব। তাদের বেপরোয়া রাজত্ব থামাবে কে? এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের। এদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত’র উপার থেকে অবৈধ পথে দিব‌্যি নিয়ে আসছে বিভিন্ন পণ‌্য সামগ্রী এলাকার উঠতি বয়সের কিশোর যুবকদের ও রোহিঙ্গা পাচারকারীকের মাধ‌্যমে এসব পণ‌্য সরবরাহ করে পাঠিয়ে দিচ্ছে দেশের প্রত‌্যন্ত অঞ্চলে।

ঘুমধুমের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এসব অবৈধ পণ‌্য পাচারের সময় বিভিন্ন পাচারকারী প্রশাসনের হাতে আটক হলেও জাহাঙ্গীর বরাবরই থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাহিরে। সীমান্ত এলাকায় এক শক্তিসালী সিন্ডিকেট গঠন করে এসব অবৈধ কারবার করে যাচ্ছে বলে বিস্তর অভিযোগ স্থানীয়দের।

উত্তর পাড়া এলাকার একাধিক স্থানীয়রা জানান, চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর আলমগীর তারা দুই ভাইয়ের কিসের ক্ষমতায় এসব অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে সেটা বরাবরই থেকে যাচ্ছে অজানা। তারা দুই ভাইয়ের অবৈধ কারবারে অতিষ্ট স্থানীয়রা সুশিল সমাজ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক দোকানদার এ প্রতিবেদককে বলেন, চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর এলাকার চিহিৃত একজন অবৈধ ব‌্যবসায়ী। সে প্রতিদিন ভোর রাতে সীমান্ত দিয়ে এসব অবৈধ পণ‌্য অবৈধ পন্ত্রায় দেশে নিয়ে আসছে বলে জানান তিনি।

চিহিৃত চোরাকারবারী আলমগীরের ভাই জাহাঙ্গীরের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে ফোন করলে সে ব‌্যস্ত এবং অন‌্যদিকে নেটওয়ার্ক সম‌্যার অজুহাত ধরে টেলিফোন কেটে দেন।

ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ(ইন্সপেক্টর) সোহাগ রানার এ প্রতিবেদককে বলেন, মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান অব‌্যাহত আছে এবং থাকবে।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম‌্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ঘুমধুমে স্বাধীনতার পরবর্তি যাদের বসবাস তাদের আত্বীয় স্বজনরা ওপারে(মিয়ানমারে) থাকায় তারা অবৈধ পথে এসব ব‌্যবসা বানিজ‌্য করে যাচ্ছে। এসব কাজে যারা জড়িত তাদেরকে চিহিৃত করে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে সকলেই প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। আমার ইউনিয়নে মাদক চোরাকারবারীর ঠাই হবেনা। অবৈধ কারবারী যত ক্ষমতাবান হউক না কেন, প্রশাসন অবশ‌্যই তাদের আইনের আওতায় আনবে বলে আমার বিশ্বাস।