ডেস্ক নিউজ ;
দেশে গতো ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড সংখ্যক সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৪২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে গত ৭ এপ্রিল ১৪ হাজার ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাত ৯টায় এ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৪ কোটি ২১ লাখের বেশি বিদ্যুৎসংযোগ রয়েছে, যার আওতায় জনগণের শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এক যুগ আগে বিদ্যুৎ গ্রাহকসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। এই মধ্যবর্তী সময়ে ২ কোটি ১৩ লাখ বিদ্যুৎসংযোগ বেড়েছে।
সাতদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ২৭টি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮টিতে। দেশের যেসব স্থানে গ্রিডের বিদ্যুৎ সরাসরি পৌঁছানো যায়নি সেখানে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সংযোগ এবং সোলার মিনিগ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা গত ১২ বছরে পাঁচগুণ বেড়েছে। ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎসহ দেশে এখন উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। আরও ১৩ হাজার ২১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে। ভারত থেকে বর্তমানে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।
এদিকে এতো বিশাল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ও কক্সবাজার জেলায় থেমে নেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। এটাকে বিদ্যুৎ সংকট বলতে নারাজ কক্সবাজারবাসী। কক্সবাজার জেলার ৮ টি উপজেলায় প্রতিনিয়তই চলছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ঘনঘন লোডশেডিং এ স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ ছাত্রীদের পড়ালেখায় যেমন বিঘ্ন ঘটছে অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে বাসা বাড়ীতে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি সহ পানি উত্তোলনের মটর। এলাকায় পানি সংকটে ভুগছে অসংখ্য মানুষ। এটিকে বিদ্যুৎ বিভাগের পরিকল্পিত কারসাজি বলছে অসংখ্য ভুক্তভোগী। এ ব্যপারে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
সীমান্তবাংলা / ১৩ এপ্রিল ২০২২