লামায় বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ৮ পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৩

 

(বিশেষ প্রতিনিধি)

বান্দরবানের লামা বনবিভাগ কর্তৃক আজিজনগর ও ৫নং সরই ইউনিয়নে বন্যহাতি দ্বারা আক্রমনে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ৮ পরিবারের মাঝে ৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (১২ এপ্রিল”২০২৩ইং) সকালে সরই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যলয়ে মানুষ-হাতি সংঘাত নিরসনে ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় করণীয় বিষয়ে জনসচেতনতা মূলক সেমিনার এবং ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ডলুছড়ি রেঞ্জের বন কর্মকর্তা এস এম রেজাউল ইসলামের পরিচালনায় ও লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফুল হক বেলাল।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী বন সংরক্ষক খোন্দকার মোঃ গিয়াস উদ্দিন, সরই ইউপি চেয়ারম্যান ও লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস কোম্পানি, সরই বন বিট কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন, সাবেক সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ উল আলম, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য সহ আরও অনেকেই।

এদিকে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা হলেন- লামার আজিজনগর ইউনিয়নের বন্যহাতির আক্রমনে নিহত খাদেজা বেগমের ছেলে আব্দুর ছাত্তারকে ৩ লক্ষ টাকা, নিহত আমির আলীর ছেলে মোঃ রবিউল ইসলামকে ৩ লক্ষ টাকা, সরই ইউনিয়নের হাফেজা বেগমের বসতবাড়ি ভাংচুর ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫ হাজার টাকা, বসতবাড়ি ও কলা বাগান ভাংচুর করায় আমেনা বেগমকে ১৫ হাজার টাকা, ২ কানি ধানের ক্ষেত নষ্ট করায় আব্দুস ছফুরকে ১০ হাজার টাকা, বসতবাড়ি ও কলা বাগান ভাংচুর করায় আব্দুল মাবুদকে ১৫ হাজার টাকা, বসতবাড়ি ও ধান নষ্ট করায় আনোয়ারা বেগমকে ২০ হাজার টাকা এবং বসতবাড়ি ও ধান ক্ষেত নষ্ট করায় হোসনে আরা বেগমকে ১৫ হাজার টাকা সহ ৮ পরিবারের মাঝে সর্বমোট ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করা হয়।

এসময় লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক বেলাল জানান, পাহাড়ে আবাস্থল ও করিডোর নষ্ট হওয়ায় বন্যহাতিগুলো লোকালয়ে চলে এসেছে। বন্যহাতি দ্বারা উপরে উল্লেখিত যে পরিবার গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। পাহাড়ে বসবাসরত পরিবার গুলোকে তাদের বাড়ি-ঘর সহ জানমাল রক্ষা করার জন্য বন বিভাগের পক্ষে থেকে সচেতনতামূলক বিভিন্ন ভাবে বলা হচ্ছে। যার যার অবস্থান থেকে বেশি বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে।

পাশাপাশি বন্য প্রাণীরাও যাতে নিরাপদে বসবাস করতে পারে সেদিকেও সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী মানুষের ক্ষতি করে থাকলে, আমাদের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।