র‍্যাব পরিচয় দিয়ে প্রতারক চক্র হাতিয়ে নেয় সর্বস্ব

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৩

 

মুসলিম উদ্দিন :

উখিয়ার বালুখালির আছইন্না পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় র‍্যাব-১৫’র পরিচয়ে রোহিঙ্গার স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক স্থানীয় ও এক রোহিঙ্গা। গত রবিবার (২৬ ফ্রেব্রুয়ারি-২০২৩ইং) দুপুর ১২টার দিকে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বালুখালির আছইন্না পাহাড় সংলগ্ন এলাকা থেকে রোহিঙ্গা এক স্বর্ণ ব্যবসায়ি হতে ২০ভরি (আনুমানিক মূল্য ১৮লক্ষ টাকা) ওজনের স্বর্ণের বার ছিনতাইকরেছে। সুত্রে জানা যায়, স্বর্ণেরবার, চিন্তায়কারীরা হলেন ,বালুখালি ২ নং ওয়ার্ডের মীর কাসেমের ছেলে দিদার মিয়া (প্রকাশ আব্বিয়া), একই এলাকার জহুর আলমের ছেলে উম্মে হাসান, বার্মায়া বেলালের ছেলে নুরুল আমিন বাদশা, প্রকাশ – শিং বাদশা, বদিউর রহমানের ছেলে হেলাল উদ্দিন, ও মিজানুর রহমান। ঘুমধুম উত্তর তুমব্রু এলাকার বদিউর রহমান ছেলে মোঃ ইউসুফ আলী। অভিযুক্ত মিজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ঘটনা অস্বীকার করে। পরে ঘটনা অস্বীকার করে জানান, আমি ছিনতাই করিনি অন্যন্যরা করেছে। অভিযুক্ত অন্যান্যদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা বলছেন, এই চক্রের যারা আছে তাদের সব কিছু কন্ট্রোল করে ঘুমধুমের ইউসুফ আলী। সে এখন প্রায় সময় চট্টগ্রামে থাকে, এর আগেও তার বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা জাতীয় ও স্থানীয়সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার কারণে পালিয়ে আছে বলে জানা যায়। সে এখন দুর থেকে সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে৷ এই সিন্ডিকেটি প্রায় সময় উখিয়া ও বালুখালীতে প্রায় সময় র‍্যাব, পুলিশ, ডিবি, বিজিবিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পরিচয়ে টাকা পয়সা, স্বর্ণ, ইয়াবা এসব ছিনিয়ে নেওয়া তাদের কাজ। এই চক্রের বিরুদ্ধে রয়েছে ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন মামলা। স্থানীয়রা বলছে উখিয়া ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাহিরে ও বিতরে যত অপরাধ সংঘটিত হয় এই চক্রটির মাধ্যমে হয়ে থাকে৷ শুধু তা নয় বিভিন্ন এনজিও কর্মীর কাজ হতে ছিনতাই করে ও চাঁদা নিয়েছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়দের দাবি তাদের আইনের আওতায় আনা হলে উখিয়া অপরাধ মুক্ত হবে। না হয় পুরো উখিয়াতে চাঁদাবাজ, ছিনতাই, চোরাচালান দিন দিন বাড়তে থাকবে।
(দ্বিতীয় পর্ব)