র‍্যাবের সোর্স সন্দেহে যুবককে অপহরণ,এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আঙ্গুল কেটে ফেরত দিল সন্ত্রাসীরা।

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩

 

মোঃ আবছার কবির আকাশ :
কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের সোর্স সন্দেহে আমির হোসেন নামে এক যুবককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয়দের বাঁধারমুখে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও বামহাতের আঙ্গুল কেটে ফেলে যায় সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারির একটি দল।

গেল সোমবার (৫ জুন) রাত আনুমানিক ৯টারদিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউপির নয়াপাড়ার বটতলী এলাকার পশ্চিম পাশে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং একের পর এক ভুক্তভোগী পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৮জুন) বিকাল ৪টার সময় ভূক্তভোগী পরিবার নিজ এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী আমির হোসেন বলেন, গেল সোমবার নিজের মাছের ঘের থেকে প্রতিবেশি নুরুর বাড়ি যাওয়ার সময় কালুর দোকানের সামনে পৌঁছলে স্থানীয় শীর্ষ মাদক কারবারি সিরাজের নেতৃত্বে দা,কিরিচ ও লাঠিসোটা নিয়ে আগে থেকে উৎপেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী আমির হোসেনকে পথরোধ করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।

এমতাবস্থায় ভূক্তভোগী আমির হোসেন বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার করলে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে আসায় সন্ত্রাসীরা আমির হোসেনের মোবাইল ফোন ও টাকা -পয়সা কেড়ে নেয় এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও বামহাতের আঙ্গুল কেটে আমিরকে ফেলে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়।

পরে উপস্থিত জনতা গুরুতর আহত অবস্থায় আমিরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখনো তিনি আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হওয়ার পথে।

ভূক্তভোগী আমিরের ছোট ভাই জাহেদ হোসেন বলেন, হোয়াইক্যং ইউপির বটতলী এলাকার ত্রাস শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ সিরিম্মিয়ার নেতৃত্তে খালেক প্রকাশ সালামত উল্লাহ, ইসহাক,শাহ নেওয়াজসহ ৮/১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তাঁর বড় ভাই আমির হোসেনকে র‍্যাবের সোর্স সন্দেহে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় ভূক্তভোগী আমিরের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় নিয়ে যাওয়ার সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে ভূক্তভোগী আমিরের পরিবার একেরপর এক হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জাহেদ হোসেন।
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসীরা এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা রয়েছে। মাদকের টাকার গরমে তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ মুখ খোলার সাহস করে না। সন্ত্রাসীদের অনবরত হুমকিতে আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি এবং আমাদের মাদক দিয়ে প্রশাসনের তুলে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে তারা।
উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জাহেদ হোসেন।

হোয়াইক্যং মংসজীবী সমিটির ৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বলেন,ঘটনার সময় এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে বিষয়টি জানালে মোজাম্মেল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, সিরাজ বাহিনীর সদস্যরা আমির হোসেনকে বেধড়ক মারধর করছে। তখন আরও কয়েকজন জড়াও হলে সন্ত্রাসীরা আমিরকে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন মোজ্জাম্মেল।

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি আব্দুল হালিম বলেন,ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন,তদন্ত সাপেক্ষে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।