ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক নিউজ ;
মিয়ানমারের বাস্ত্যুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে মালয়েশিয়া কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটির অভিবাসন বিভাগ (জেআইএম) স্থানীয়দের সতর্ক করেছে, রোহিঙ্গারা এ দেশে এসে আশ্রয়স্থল বা তথ্য গোপন রাখলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খাইরুল দাজায়মি দাউদ এসব তথ্য জানান।
মহাপরিচালক দাজাইমি দাউদ বলেছেন, দোষী প্রমাণিত হলে একজনের ৫ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা ও এক থেকে পাঁচ বছরের বেশি জেল হতে পারে এবং অভিবাসন আইনের ৫৬ ধারায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশটির জলসীমায় অবৈধভাবে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ছেড়ে দেয়া হবে না। তাদের অবৈধ অভিবাসী (পাতি) হিসাবে অভিবাসন ডিপোতে আটক করা হবে। ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশব্যাপী অভিবাসন ডিপোতে আটক রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ছিল দুই হাজারেরও বেশি।
আটক রোহিঙ্গাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে খায়রুল দাজাইমি সাংবাদিকদের বলেন, এটি জাতীয় নীতির সাথে জড়িত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বর্তমানে জাতিগত নিষ্পত্তির জন্য তৃতীয় দেশের সাথে আলোচনা করছে।
তিনি বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, ২০ এপ্রিল পেনাংয়ের সুঙ্গাই বাকাপ অস্থায়ী অভিবাসন ডিপো থেকে পালিয়ে আসা ৬০ জন রোহিঙ্গা বন্দীকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
‘তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা এখনো করা হচ্ছে এবং ধারণা করা হচ্ছে তারা এখন কুয়ালালামপুর, পেনাং ও সেলেয়াংয়ের আশপাশে তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে।’
মালয়েশিয়ায় কী পরিমাণ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে এই সংখ্যা লক্ষাধিক হতে পারে। বাংলাদেশের পরেই মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে। এসব রোহিঙ্গা জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর কার্ড বহন করছে।
উন্নত জীবনযাপন, অর্থ উপার্জন, বিয়ে-সংসারের লোভে ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ পথে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায় রোহিঙ্গারা। সমুদ্রপথে ট্রলারে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সময় বহু রোহিঙ্গা শরণার্থীর সলিল সমাধি হয়েছে এবং বহু আটকও হয়েছে।