রোহিঙ্গাদের টিকাদানের প্রথম ধাপ সম্পন্ন

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১

এম.এ.রহমান সীমান্ত,উখিয়া,কক্সবাজারঃ

কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর টিকাদানের সাড়া দিয়ে প্রথম ধাপে শেষ হয়েছে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন। জাতীয় পর্যায়ে সরকারের টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ’কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন ফর রোহিঙ্গা কমিউনিটি’ শিরোনামে এই ক্যাম্পেইনে অংশ গ্রহন করেছেন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা সহ কর্মরত এনজিও।

বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রামক প্রতিরোধে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম গত ১০ আগস্ট থেকে শুরু হয় উখিয়া টেকনাফের ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। প্রথম ধাপের টিকা প্রদান বুধবার (১৮ই আগস্ট) শেষ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন ফর এফডিএমএন-এর তথ্য অনুযায়ী- গত ১৭ আগস্ট পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫৪ টি কেন্দ্রে ৩০ হাজার ৬২৮ জন রোহিঙ্গাদের টিকা দেওয়া হয়।

জেলা জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সূত্র অনুযায়ী, আপাতত ৫৫ বছর বা তারও বেশি বয়সী ব্যক্তিদেরকে টিকা দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয় নেওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে যাদের ‘পরিবার পরিচিতি নম্বর’ রয়েছে তাদেরকে টিকার আওতায় আনা হয়।

এদিকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের এই সম্পর্কিত তথ্য ও নির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করেছেন কর্মরত এনজিও সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা।

১৩ নম্বর ক্যাম্প অবস্থিত ব্র্যাক প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে টিকা নিতে আসা বয়োবৃদ্ধ রোহিঙ্গা নারী মাজুমা খাতুন তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, টিকা দেওয়ার পর আপাতত কোন ধরণের সমস্যাবোধ করছি না। ব্র্যাকের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা আমাদেরকে এই সম্পর্কিত তথ্য, উপদেশ ও নির্দেশনা দিয়েছেন। টিকা গ্রহনকারী অনেক রোহিঙ্গা জানান, সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ও এনজিও সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকগণ আমাদের মতো বেশি বয়স্কদের বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে টিকা কেন্দ্রে নিয়ে আসতে সহযোগিতা করেছেন। এতে আমরা খুব খুশি।

ব্র্যাক এইচসিএমপির এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক বলেন, সরকারের টিকাদানের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সংস্থার পক্ষ থেকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে । প্রথম ধাপে টিকা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বললেন উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রঞ্জন বড়ুয়া রাজন।

আর,এম,আর