মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মুহিবুল্লাহ নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যেতে চেয়েছিলেন, সে কারণে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হত্যা করেছে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুহিবুল্লাহ নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যেতে চেয়েছিলেন, সে কারণে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।

মুহিবুল্লাহ হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করা হবে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করা হবে। এ ব্যাপারের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবউল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের শীর্ষ ৫ নেতার একজন মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ ওরফে লম্বা সেলিম নামে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। একই দিন রাতে আরও দুই জন রোহিঙ্গাকে আটক করে এপিবিএন।

গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নিজ অফিসে উপস্থিত অন্য রোহিঙ্গাদের সামনেই অস্ত্রধারীরা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে। এই ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে মুহিবুল্লাহকে দাফনের পর রাতেই তার ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর এ নিন্দা জানায়।

ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি।

সংস্থাটি বলেছে- রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত। মুহিবুল্লাহর পরিবার এবং বৃহত্তর রোহিঙ্গা শরণার্থী সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি এ ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছি।