মিয়ানমার নির্বাচন || রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কথা বলতে অনীহা সদ্য নির্বাচিত মুসলিম সংসদ সদস্যের

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২০

সীমান্তবাংলা নিউজ ডেস্কঃ সদ্য সমাপ্ত মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির এক মুসলিম নাগরিক। সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত ঐ মুসলিম সদস্যের নাম সেতু মাও (৩৩) । এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে মাত্র দু’জন মুসলিম ছিলেন। তবে এর আগের নির্বাচন অথ্যাৎ ২০১৫ সালের এই আসনে কোন মুসলিম প্রার্থী ছিলেন না।

ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) তথা দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন দল অং সান সুচি’র হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে মাও জয়ী হন। একই দলের হয়ে জেতেন উইন মিয়া নামের আরো একজন মুসলিম নাগরিক। মাওয়ের পক্ষে ভোটকেন্দ্রে জনসংখ্যার অর্ধেকই মুসলিম আর বাকিরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিল। কিন্তু মুসলিম হলেও রোহিঙ্গাদের নিয়ে করা প্রশ্ন কিছুটা এড়িয়ে যান তিনি।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচ ভেলে’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যখন আমি জয়লাভ করি তখন চারদিকে সবাই হাততালি দিচ্ছিল। আমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার সময় সবাই আমার নাম ধরে ডাকছিল। এই অঞ্চলের সবার জন্য আমার কাজ করতে হবে। যারা বৈষম্যের শিকার বা যাদের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

মানবাধিকার সংস্থার মতে মিয়ানমারে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা চরম বৈষম্যের শিকার। মুসলিম হিসেবে নির্যাতিত না হলেও তিনিও অন্যদের মতো বৈষম্যের শিকার বলে জানান সেতু মাও। যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র পেতে তাকে বেশ কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমার প্রার্থীতার কথা জানাজানি হলে আমার ওপর নানা ধরনের আঘাত আসে। আমাকে কালার (এক ধরনে গালি) বলেন অনেকে। এমনকি মুসলমানরাও আমার সমালোচনা করে বলে- ‘আমি নাস্তিক’। আমি নাকি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি না। আমাকে অনেক বিদ্বেষ সহ্য করতে হয়েছে। ধর্ম নিয়ে কথা শুনতে শুনতে আমার গা সয়ে গেছে।’

( সূত্র : ডয়চে ভেলে/ ১২ নভেম্বর ২০২০)