রফিক উদ্দিন বাবুল, উখিয়া
রুচিসম্মত খাবারের নামে মানুষ প্রতিনিয়িত বিষ খাচ্ছে। আগে দেখতাম যেসব দোকানে আঙ্গুর ফল ঝুলিয়ে রাখলে মাছি ঘুরা ঘুরি করতো। এখন দেখা যায় আঙ্গুর ফলে মাছি বসলে মারা যায়। তাছাড়া দোকানে কয়েকদিন রাখলে পঁচেগুলে নস্ট হয়ে যায়।
ভোক্তা সাধারণের অভিযোগ, লোভনীয় ফলের নামে মানুষ বিষ খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তা না হলে পবিত্র এ রমজান মাসে মহামারি আকারে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
গত ৯এপ্রিল জেনলেব ও এইচ এন্ড এইচ ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যাগে আয়োজিত সমাবেশে সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগেডিয়ার জেনারেল ড.শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, পার্শবর্তী দেশ ভারতের তুলনায় আমরা অনেক খাবার অপচয় করি। বাংলাদেশের প্রতি বাড়িতে প্রতি বছরে ৬৫কেজি খাবার অপচয় হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।
সরজমিন উখিয়ার হাটবাজার গুলো ঘুরে দেখা যায়, ফুতপাতে সারিসরি ফলের দোকান। যান বাহনের ধুলোবালিতে একাকার হয়ে গেছে। আলমগীর নামের একজন অকপটে স্বীকার করে বললেন, তাদের ফলে কীটনাশক ফরমালিন ওষুধ সংরক্ষণ করা হয়। তাই সবসময় তরতাজা থাকে, মাছিও বসেনা। আবার কয়েকটি দোকানে দেখা গেল পঁচা বাসি খেজুর বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদ কর্মী শাকুর মাহমুদ বললেন, হাটকাজারের প্রশাসনের মনিটরিং না থাকার কারনে মৌসুমী ব্যবসায়িরা ফলের নামে মানুষ বিশ খাচ্ছে। প্রত্যক্ষ্যদর্শী হাজি আবদুল মান্নান জানান, উখিয়ার মধ্যম স্টেশনের ফুতপাতে যেসমস্ত ভাসমান দোকান আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের সদস্য রেজাউল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ক্ষতিকর খাবারের বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে আমরা নীতিমালা প্রনয়ন করছি। এ ব্যাপারে যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষপর্যায়ে।
উখিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রঞ্জন বড়ুয়া জানায়, বছরের এ সময়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাব ও তেলযুক্ত বাসি খাবারের খাওয়ার কারণে ডায়রিয়ার প্রভাব বাড়ছে। তবে এ ক্ষেত্রে মানুষকে হাসপাতালের সহযোগিতা নিতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেছেন, ফুৎপাতে যেহেতু অখাদ্য কুখাদ্য বাসি ফলদ্রব্য বিক্রি করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।