মহেশখালীতে ৪টি পানের বরজ পুড়িয়ে দিয়েছে শাপলাপুরের বিট কর্মকর্তা নাহিদ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মে ১, ২০২৩

 

জুয়েল চৌধুরী, মহেশখালী:
কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৪টি পানের বরজ পুড়িয়ে দিয়ে ২টি ঘর ভেঙে দিয়েছে মহেশখালী বনবিভাগের শাপলাপুর ইউপির বিট কর্মকর্তা নূরে আলম নাহিদের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টিম।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার শাপলাপুর ইউপির জেএমঘাটের চিকনিরপথ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিট কর্মকর্তার সাথে তাদের কোন পূর্ব শত্রুতা নেই। তারপরও কেন তিনি সামাজিক বনায়নের নামে বিনা নোটিশে এসে তাদের পানের বরজ পুড়িয়ে ঘর ভেঙে দিয়েছে তারা জানেনা। এতে পানের বরজ ও ঘর মালিকদের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। তারা বনবিভাগের কাছে পানের বরজ ও ঘরের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত পান বরজ মালিক মো: শেফায়েত উল্লাহ জানান, আগুন লাগার বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই বিট কর্মকর্তাসহ চারজন মিলে পাহাড়ের আগাছায় আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। পাহাড়ের লাগোয়া হওয়ায় তার পানের বরজটি পুড়ে যায়। তিনি আরো জানান, গত চারপাঁচ মাস আগে জনৈক এক ব্যক্তি থেকে নগদ সত্তর হাজার টাকায় পানের বরজটি নেন। লাভের আশায় সেখানে আরো ত্রিশ হাজার টাকা খরচ করেন। বর্তমানে তার পান বরজ সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি এর বিচার চান। এছাড়াও স্থানীয় কৃষক বদিউল আলম, নাছির উদ্দীন ও নুরুল ইসলামের আরো তিনটি পানের বরজ পুড়ে যায়। তাদেরও প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান।

এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইয়াছিনকে ফোনে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

শাপলাপুর ০২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দু সালাম জানান, শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা নূরে আলম নাহিদ আমার ওয়ার্ডের মানুষদের কি বুঝাতে চাই? সামাজিক বনায়নের নামে সাধারণ মানুষদের হয়রানি বন্ধ করে যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুন, না হয় জনগণকে সাথে নিয়ে আপনার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করবো।

১, ২, ৩নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার দিলুয়ারা বেগম দিলু জানান, বিনা নোটিশে কেন পানের বরজ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বিট কর্মকর্তা নাহিদকে জবাব দিতে হবে। প্রায় শুনতে পাই, সে একজন নারী লোভী লোক। সে আমার এলাকার অনেক মেয়েকে কু-প্রস্তাব দিয়েছে। যেটার অনেক প্রমাণ আমার কাছে আছে। তাকে টাকা দিলে বনবিভাগের জায়গায় অনৈতিক কাজ করতে পারে। টাকা না করতে পারেনা।

বিট কর্মকর্তা নাহিদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বনবিভাগ কারো ব্যক্তিস্বার্থে কাজ করেনা। সরকারের উন্নয়নের জন্য কাজ করে। দুই ইউপি সদস্যের অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি কারো নাম নিতে চাইনা, তবে তারা একটি সিন্ডিকেট। তারা বনবিভাগ থেকে অনৈতিক সুবিধা না পাওয়ায় এসব বকছে।