মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে মানবপাচারে দুটি এয়ারলাইন্সের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২০

বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে মানবপাচারে দুটি এয়ারলাইন্সের কর্মীদের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। মানবপাচারের তদন্তে নেমে ওই দুই এয়ারলাইন্সের কয়েকজন কর্মকর্তাকে এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে সেগুলো বাংলাদেশের কোনো কোম্পানি নয় বলে জানিয়েছে সিআইডি।

ইতোমধ্যেই যাদের পাচার করা হয়েছে, তাদের সবাইকেই ভিজিট ভিসা বা কনফারেন্স ভিসায় নেয়া হয়েছে। এসব ভিসায় কেউ কোনো দেশে গেলে তাদের রিটার্ন টিকিট থাকার কথা। কিন্তু যাদের পাচার করা হয়েছে তাদের কেউই রিটার্ন টিকিট নেননি।

লিবিয়ায় মানবপাচার মামলার ছয় পলাতক আসামির সন্ধান চেয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির নেতৃত্বে থাকা অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান এ তথ্য তুলে ধরেন।

এয়ারলাইন্স দুটির নাম প্রকাশ না করলেও সিআইডি প্রধান বলেছেন, মানবপাচারের তদন্তে নেমে এর সঙ্গে দুটি এয়ারলাইন্সের কর্মীদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে সিআইডি। সেগুলো বাংলাদেশের কোনো কোম্পানি নয়। তদন্তে দেখা যায়, এ দুটি এয়ারলাইন্স সিঙ্গেল টিকেটে লোক পাঠিয়েছেন, যা অন্যায়। কোনো সেমিনারে, চিকিৎসা নিতে; এমনকি ভ্রমণে গেলেও কখনো সিঙ্গেল টিকেটে যাওয়ার কথা নয়। ওই দুটি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব তদন্তেও ‘বিষয়টি দেখতে পেয়েছে’।

এ ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশনের কোনো দায় ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের যাওয়া এবং আসার দুটি টিকিট দেখানো হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে রিটার্ন টিকিটটি সঠিক নয়। এটা ওই এয়ারলাইন্সের লোকজনও জানে এবং তারা জড়িত।

পুলিশের এই অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক জানান, মানবপাচারের ঘটনায় ওই দুই এয়ারলাইন্সের কয়েকজন কর্মকর্তাকে সিআইডি অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানবপাচারে জড়িত পলাতক কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে ইন্টাপোলে আবেদন জানানো হবে।

ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ২৬ মে লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনার পর মানবপাচারের ২৬ মামলার মধ্যে ২৫টি মামলা তদন্ত করছে সিআইডি। এসব মামলায় আসামি ২৯৯ জন। এখন পর্যন্ত ১৭১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হবিগঞ্জে করা একটি মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ৪২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

(তথ্য সুত্রঃ জাতীয় দৈনিক থেকে/ সীমান্তবাংলা)