ভেকু গিলছে নদীপাড়ের ফসিল জমি

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১

মাদারীপুর প্রতিনিধি,সীমান্তবাংলা :

আড়িয়াল খাঁ নদপাড়ের ফসলি জমির মাটি এক্সকাভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে কেটে নিচ্ছে একটি চক্র। ট্রাক্টরে করে বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এসব মাটি। স্থানীয় লোকজনের দাবি, প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের বিপদে পড়বে নদপাড়ের মানুষ। পাশাপাশি ধ্বংস হবে এসব ফসলি জমি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের চরব্রাহ্মন্দীর এক নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে আড়িয়াল খাঁ নদপাড়ের ফসিল মাটি কাটা হচ্ছে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে। এভাবে মাটি কেটে নেওয়ার ফলে সরিষা, মূলা, লাউ, কলাইসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া ঝুঁকিতে পড়েছে নদপাড়ের রাস্তা ও এলাকার বসতবাড়ি। বর্ষা মৌসুম এলে নদীতে বিলীন হতে পারে পুরো এলাকা। নদপাড় থেকে মাটি কাটা ও তা বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে চরব্রাহ্মন্দী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদতীরের সামান্য অদূরে চলছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমির মাঝখান থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে জমির মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ। সে মাটি সংগ্রহে ব্যস্ত রয়েছেন শ্রমিকেরা। পাশেই রয়েছে কয়েক শত বাড়িঘর। মাটি কাটার ফলে সে জমিতে এখন বিশাল আকারের গর্ত। এতে বর্ষা মৌসুমে নদের পেটে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে পুরো এলাকা।

স্থানীয় লোকজনের নিষেধ অমান্য করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রকাশ্যে কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি। এতে নষ্ট হচ্ছে ফসিল জমি ও হুমকিতে বসতবাড়ি। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার লোকজন ভয়ে বাধা দিতে পারছেন না এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল বেপারী বলেন, ‘নদতীরের এসব ফসলি মাটি কাটার ফলে আবাদি জমি নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়িঘরও হুমকির মুখে। এমনিতেই এলাকাটি ভাঙনপ্রবণ এলাকা। এই চক্রের মূলহোতা পুরাতন ফেরিঘাট এলাকার রাজিব খাঁ। সে এলাকার প্রভাবশালী।’

এ ব্যাপারে রাজিব খাঁ বলেন, ‘নদে এমনিতেই এখানে ভেঙে নিয়ে যাবে। তাই আমরা মাটি কাটছি। আরো অনেকেই কাটছে, এটা কোনো অন্যায় না।’ পরে তিনি সাংবাদিকদের উপর তেড়ে আসেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অভিযান চলছে। আমারা বিষয়টি দেখব। ফসিল জমির মাটি কাটা আইনবহির্ভূত কাজ।

 

(সীমান্তবাংলা/১০নভেম্বর/জেবি/ইযা)

 

সংবাদটি শেয়ার করুন