ভারত, চীন দ্বন্দ, ভারতের বানিজ্যিক ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার আশংকা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০

পারমাণবিক শক্তিধর দুটি দেশ চীন ও ভারতের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব সংঘাতের আশংকা ক্রমশ বাড়ছে। কয়েক যুগ শান্ত থাকার পর দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে গত ১৫ই জুন লাদাখ সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হয়। তারপর থেকে উত্তেজনা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি । বরং বেড়েই চলছে। উত্তেজনা প্রশমনের একদিকে নেই বললেই চলে।
সর্বশেষ গত সোমবার রাতে ৪৫ বছর পর লাদাখের একটি অংশে ‘গুলি’ চালানোর ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে দেশ দুটি । এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে কোথায় গিয়ে দাড়াচ্ছে বিশ্ব রাজনীতি?
এ প্রসঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, ‘গত মে মাসের পর থেকে ভারত-চীন দুই দেশই স্থলসীমান্তে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করে যাচ্ছে ক্রমাগত। ১৫ই জুনের সংঘাতে ভারতীয় সৈন্য নিহতের ঘটনার পরে উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ নেওয়া হলেও উল্টো সংঘাতের আশংকাই বেড়ে চলেছে বলা চলে। আমরা যারা বাইরে থেকে দেখছি তাদের কাছেও অবস্থাটাকে চিন্তা উদ্রেককারী বলে মনে হচ্ছে। দুটি দেশের সুসজ্জিত সেনাবাহিনী যখন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজেদের দাবি পুনর্উল্লেখ করতে থাকে তখন ওই জায়গাটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকে। এর আগেও এর নেতিবাচক প্রভাব আমরা দেখেছি।’
‘‘দুই দিক থেকেই সেনা অবস্থান সুদৃঢ় করা হচ্ছে। দুই দেশই যতক্ষণে সীমান্ত থেকে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের সৈন্য নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে না নিচ্ছে ততক্ষণ বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।’’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে ভারত মিডিয়া ও জনগণের মধ্যে চীন সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব প্রকাশিত হচ্ছে। ভারত কিছু চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে, কিছু কাজে চীনাদের অংশগ্রহণে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। চীনেও একইভাবে নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে ভারতকে অভিযুক্ত করাসহ অনেক কিছু করা হচ্ছে।’

এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে এভাবে সুসজ্জিত সেনাবাহিনী পাশাপাশি থাকলে অনিচ্ছাকৃত কিছু দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে বলেই মনে করেন এই কূটনীতিক। বলেন, ‘বিশ্বাস না থাকলে তো তা আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠে। সম্প্রতি দুটি দেশের বিশ্বাসের জায়গাটা খুবই ক্ষীণ। তাই পরিস্থিতি স্বস্তিকর বলাটা মুশকিল মনে হচ্ছে।’
তার মতে, ‘গত প্রায় ১ দশক ধরে ভারত ও চীনের মধ্যে বৈরীতা রয়েছে। এখন তারা সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে, সীমান্তবিরোধ আছে। পুরো বিশ্বেই প্রভাব বিস্তারের একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা আগে থেকেই ছিলো আর এখন এই পরিস্থিতিতে তাদের সম্পর্কের ভেতরে অবিশ্বাস ও বৈরীতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই পরিস্থিতি ভারতের ভারতের বানিজ্যিক ক্ষেত্রে বিশাল নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

সীমান্তবাংলা/ শাহীন মঈনুদ্দীন/ ১১/৯/২০২০