ব্যাস্ত সময় পার করছেন শেরপুরের প্রতিমা শিল্পীরা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১

 

হিমন সরকার,
বগুড়া (শেরপুর) প্রতিনিধি:

শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সর্ব বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে এখনও ১৯ দিন বাকী থাকলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দরজায় কড়া নাড়ছে দেবী-দুর্গার আগমনী বার্তা। ইতোমধ্যেই বগুড়ার শেরপুরে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দুর্গা প্রতিমা তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছে।

এবার শেরপুর উপজেলায় পৌরসভাসহ দশটি ইউনিয়নে ৮৪টি মণ্ডপে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় জাকজমকপূর্ণ ভাবে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে।এরমধ্যে পৌর এলাকায় রয়েছে ৩১টি মণ্ডপ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কারিগররা কাদা-মাটি, খড়-কাঠ সংগ্রহ থেকে শুরু করে, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এই কার্যক্রম।এখন শারদীয় দুর্গোৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।এ উৎসবকে ঘিরে উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে কর্ম ব্যস্ততা।দিন রাত কাজ করে শিল্পীদের হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। যেন দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের।তবে রং, তুলির ও সাজসজ্জার দাম বেশি হওয়া ও প্রতিমা বানানোর মজুরি কম পাওয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে তাদের মধ্যে।

প্রতিমা শিল্পী শ্রীকান্ত সরকার বলেন,আমি ২০বছর যাবত প্রতিমা বানায়। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও সকল ধরনের প্রতিমা বানিয়ে থাকি এইবার ৫০ টি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছিলাম কিন্তু আমি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কারণে প্রতিমা কমিয়ে দিয়েছি এইবার আমি আটটা প্রতিমার কাজ করতেছি।নিশিকান্ত সরকার, লিটন কুমার সরকার প্রতিমা তৈরীতে আমার সহযোগী হিসেবে আমার সঙ্গে কাজ করেন।এখন প্রতিমা গুলোতে মাথা লাগানোর কাজ চলছে। এবার প্রতিমার মূল্য সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়েছে।

তিনি আরো বলেন গোবিন্দগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, মহিমাগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলার লোক আমার কাছ থেকে দুর্গা প্রতিমা নেন। তিন মাস আগে দূর্গা পূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরির অডার পেয়ে কাজ শুরু করেন। এখনও আনেক কাজ আছে ফিনিসিং, তারপর রঙের কাজ শেষ করে তাদের মন্ডপ গুলোতে প্রতিমা পৈাছাতে হবে। প্রতিমা স্থাপনের ১০ থেকে ১২দিন আগে এগুলো রঙের কাজ শুরু করা হবে।

এদিকে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে শেরপুর পূজা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় জগন্নাথ মন্দিরের এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপজেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক নিমাই ঘোষ।এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের প্রতিনিধিরা আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখাসহ পূজা মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানান।

এবার দুর্গাদেবী আসবে ঘোড়ায় চড়ে। দুর্গোউৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গা উৎসব। ১২ অক্টোবর দেবীর সপ্তমীবিহিত, ১৩ অক্টোবর দেবীর মহাঅষ্টমীবিহিত, কুমারী পূজা, সন্ধি পূজা, ১৪ অক্টোবর দেবীর নবমীবিহিত এবং ১৫ অক্টোবর দশমীবিহিত পূজা, সমাপন ও দর্পন বিসর্জন এবং সন্ধ্যা আরত্রিকের পর প্রতিমা বির্সজনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।

সীমান্তবাংলা / ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১