বসতচ‌্যুত ‌রো‌হিঙ্গা‌দের প‌ক্ষে বিচার চায়, অংসান সু চির দল

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২

সীমান্তবাংলা ডেস্ক ■ নেদারল্যান্ড এর হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে দা‌য়ের করা মামলায় দু`বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযানের নৃশংস গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন দেশটির তৎকালীন স্টেট কাউন্সিলর অংসান সু চি। সেই সু চির দলই এখন রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিচার চায়।

সু চির দলের এমপি ও কর্মীদের নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যের ছায়া সরকার বলেছে, রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা বিচারের এখতিয়ার নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।

আইসিজেতে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ২১ ফেব্রুয়ারি ধার্য রয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সুচি। সে সময় তাঁর সরকার এরপর গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানে পতন ঘটে সুচি সরকারের। আটক হন সুচি ও তাঁর দলের নেতাকর্মী। এই অবস্থায় সু চির জায়গায় মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব নিয়ে সংকট তৈ‌রি হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ছায়া সরকার বলেছে, এ মামলার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে যে আপত্তি জানানো হয়, তা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, জান্তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আইসিজে কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের মামলার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলে, তা জান্তাকে স্বীকৃতি স্বরুপ গণ্য হবে। ফলে তারা আরও শক্তিশালী হবে। অ‌তি উৎসাহে তাদের নৃশংসতা অব্যাহত রাখবে। তাই জাতিসংঘে নিয়োজিত মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি কিয়াও মু তুনকে মামলাটির প্রতিপক্ষ দলের প্রধান হিসেবে গ্রহণ করতে আহ্বান জানিয়েছে ছায়া সরকার।

রোহিঙ্গাদের ওপর ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যে’ হামলা চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের নভেম্বর আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পশ্চিম আফ্রিকা দেশ গাম্বিয়া। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মিয়ানমার সরকারকে কিছু নির্দেশনা দেয় আইসিজে। এতে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা বসতিতে সংঘটিত নিপীড়নের প্রমাণাদি সংরক্ষণ এবং রোহিঙ্গাদের ওপর পরবর্তী নিপীড়ন ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। প্রতি ৬ মাস অন্তর রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত বছরের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর জান্তার অনুগত কর্মকর্তারাই আইসিজের মামলার দেখভাল করছেন। এ অবস্থায় গত বছরের জুলাইয়ে গাম্বিয়ার মামলার বিরুদ্ধে আইসিজেতে আপত্তি জান্তার প্রতিনিধিরা। পরবর্তী শুনানির তারিখ ঘোষিত হওয়ার পর ১৪ জানুয়ারি নিজেদের প্রতিনিধিদলের প্রধান পরিবর্তনের ঘোষণা দেয় মিয়ানমার সরকার। তবে এখনো তারা নতুন প্রতিনিধির নাম ঘোষণা করেনি।