বগুড়ায় মাদ্রাসার গাছ কাটার অভিযোগ ,তদন্তে হয়নি অগ্রগতি

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার :

বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর ইউনিয়নের জয়ন্তিবাড়ী দারুলহুদা বালিকা দাখেলী মাদ্রাসায় গাছ কাটার অভিযোগের তদন্তে হয়নি অগ্রগতি ৷

গত ১৩জানুয়ারি বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম।

প্রতিষ্ঠানটির সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হান্নান অনুমতি না নিয়ে গোপনে অন্তত ২০টি বিক্রি করেছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

সরেজমিনে জয়ন্তিবাড়ী দারুলহুদা বালিকা দাখেলী মাদ্রাসার শিক্ষক শাহ আলম বলেন, এই মাদ্রাসার জন্মলঘ্ন থেকেই আছি। মাদ্রাসার জায়গায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করা হয়েছিলো। সবচেয়ে বেশি লাগানো হয়েছিলো ইউক্লিপটাস গাছ। বর্তমান সভাপতি এবং সুপার মিলে প্রতিষ্ঠানটির অনেক গাছ বিক্রি করে ফেলেছে। গাছ গুলো কাটার জন্য কোন দপ্তরের অনুমতি নেয়নি সভাপতি এবং সুপার। সভাপতি এবং সুপার গোপনে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের উত্তরে একটি বড় ইউক্লিপটাস গাছ কেটে ফেলে। বিষয়টি জানাজানি হলে মাদ্রাসার ব্রেঞ্চ বানানোর জন্য কাটা হয়েছে বলে প্রচারণা চালান তারা। কখনো কখনো বলছেন গাছটি মাদ্রাসার নয়।

জানতে চাইলে মাদ্রাসা সংলঘ্ন বাড়ির গৃহিনী অঞ্জনা সহ অনেকে জানান, মাদ্রাসার জায়গায় অনেক গাছ ছিলো। সুপার এবং এবং সভাপতি মিলে সব গাছ বিক্রি করে খেয়েছেন। মাদ্রাসার উত্তরে অনেক বড় একটি ইউক্লিপটাস গাছ কেটেছে। স্থানীয়দের বাধার কারণে তা আর নিতে পারে নাই।

প্রতিষ্ঠানটির সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময় কিছু মরা গাছ কাটা হয়েছে। সেগুলোর দাম নেই বললেই চলে। মাদ্রাসার উত্তরে যে ইউক্লিপটাস গাছ কাটা হয়েছে তা প্রতিষ্ঠানের না।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হান্নান মোবাইল ফোনে বলেন, মাদ্রাসার গাছ কাটা হয়নাই। মরাগাছ গুলোর স্থানে নতুন গাছ লাগানো হয়েছে। মাদ্রাসার পাশে কাটা গাছ আমার ব্যাক্তি মালিকানার জায়গায়।

ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার জন্য সরকারী অফিসের অনুমতি নেয়া হয়নি। এভাবে গাছ বিক্রি করা এবং সেই অর্থ মাদ্রাসায় জমা না দেয়া অন্যায়। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেয়ার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তদন্ত শুরু হয়নি। গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্ষায় আমি উদ্যোগ নিয়েছি। প্রশাসন সহযোগিতা না করলে তা বাস্তবায়ন সম্ভব না।

এ ব্যপারে জানতে বগুড়া জেলা প্রশাসনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে ফোন রিসিভ হয়নি।

সীমান্তবাংলা/রম/২৪ জানুয়ারি ২০২২