ফেল করায় কোদাল দিয়ে ২ ছাত্রীকে পেটালেন অধ্যক্ষ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঈনুল হক কলেজের অধ্যক্ষ দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কোদালের হাতল দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন। আহত ওই দুই ছাত্রীকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজের অধ্যক্ষের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

জানা গেছে, কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শাখাইতি গ্রামের তাসলিমা খানম ও মাগুরা গ্রামের নাঈমা আক্তার নির্বাচনী পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তারা কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে যায়। তখন অধ্যক্ষ কলেজের বাগানে ছিলেন। সেখানে গিয়ে তারা শিক্ষককে পরীক্ষায় পুনরায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানায়। এসময় অধ্যক্ষ মতিউর রহমান রেগে যান এবং বাগানে থাকা কোদালের হাতল দিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন।

তাদের কান্না ও চিৎকারে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা দৌড়ে আসে। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় জয়নগর বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

এদিকে অধ্যক্ষের এই নির্মম আচরণে ক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে জয়নগর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে। সেখানে তার বিচার দাবি করা হয়।

এ ব্যাপারে আহত ছাত্রী তাসলিমা খানম বলেন, আমি একজন এতিম মেয়ে। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করছি। স্যারকে অনুরোধ করতে গিয়েছিলাম। তিনি স্যার উল্টো আমাদেরকে কোদালের হাতল দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

আহত ওই ছাত্রী আরও জানায়, প্রায় সময়ই স্যার আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। বাজে কথাবার্তা বলেন।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, ‘আমি তাদেরকে মারধর করিনি। শাসন করেছি মাত্র।’

সদর থানার ওসি মো. শহিদুর রহমান বলেন, আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দুই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বা তাদের পরিবার অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।