পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২

 

এম আর আয়াজ রবি, উখিয়া উপজেলা ( কক্সবাজার) প্রতিনিধি।

উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের বারবার ( হ্যাট্রিক) নির্বাচিত, জনপ্রিয় চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা গায়েবি মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে উখিয়া উপজেলার পালংখালীবাসী ও সর্বস্তরের জনগণ পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

মানববন্ধন উত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আজকে আমার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রীমহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, গায়েবী মামলা দায়ের করেছেন। আমি দীর্ঘদিন যাবত পাহাড় খেকো, বালি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছি। যার ধারাবাহিকতায় আজকে আমার নামে মিথ্যা মামলা সৃজন করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ৩৮ টি বালি মহালকে সরকার কর্তৃক যথানিয়মে, বিধিবিধান মেনে সরকার ইজারা দিয়েছে। তদ্মধ্যে আমার পালংখালী ইউনিয়নের ২ টি বালির মহল রয়েছে।বর্তমান মাননীয় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহোদয় ইজারা নিয়েছেন।তন্মধ্যে থাইংখালী বালির মহালে ইজার নিয়েছেন বিএস ১ নং খতিয়ানের বিএস ৬৯, ৫১৩ ও ৫৩৯ দাগের আন্দরে ৭ একর ২৩ শতাংশ জমি। পালংখালীর ১ নং খতিয়ানের ২৫৯৪ ও ২৬০৩ দাগের অন্দরে ৮ একর ৬২ শতক বালি ইজারা নিয়েছে।বালি মহল ইজারা নেবার পর জীবনে কোনদিন উনাকে এখানে দেখা যায়নি।অত্র এলাকার কিছু চিহ্নিত খারাপ মানুষ, যাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা, অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা আছে তাদেরকে সাব লিজ দিয়েছে। সাব লিজ দেবার কারনে তারা কোথায় থেকে বালি আহরণ করতে হবে তা চিন্তা না করে লিজের আওতার বাইরে গিয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও পাহাড় কেটে, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বালি খেকো মহল এবং নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধমহলের যোগসাজসে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা প্রদান করেছে। আমি এই মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমার বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ছিল কক্সবাজার জেলার মাননীয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শাল মহোদয়ের। কারন বালি মহলের ইজারাদার হচ্ছেন তিনি। কিন্তু আমার নামে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন কোথাকার কোন সিরাজুল মোস্তফা। জীবনে আমি এই বাদীকে দেখিনি, তার কোন দোকান পাট তো নেই, কোনপ্রকার অফিস পর্যন্ত অত্র এলাকায় নেই। আমি কিভাবে, কোন যুক্তিতে তার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করব, আমার মাথায় আসছে না।
অত্র এলাকায় কোন ব্যবসা বানিজ্য, কোন দোকান, কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তো নেই, তার সাথে আমার কোনদিন দেখা হয়নি। মুলতঃ বালুর মহলের ইজারাদার বর্তমান কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শাল। আমি টেন্ডারের ভিত্তিতে সরকারের রাজস্ব আদায়ের জন্য যেসব বালিমহল ইজারা দেওয়া হয়েছে, ইজারাদারের শর্তসাপেক্ষে ঐ এলাকার বালিমহল থেকে বালি উত্তোলন করলে আমার বলার কিছুই থাকেনা। কিন্তু তারা ইজারাকৃত অংশের বাইরে এসে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি তোলে পাহাড় ধ্বংশ করে পরিবেশ ক্ষতি করার প্রতিবাদ করতে গিয়েই আজকে আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে, যা মহান আল্লাহর রহমতে, জনগনের দোয়ায় সফল হবেনা ইনশাআল্লাহ।