পালংখালী ইউপির ২নং ওয়ার্ডে মোরগ প্রতীকের ফজল কাদের ভুট্রো জনমতে এগিয়ে

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১

 

এম.এ.রহমান সীমান্ত,উখিয়া,কক্সবাজারঃ

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী সাবেক জনপ্রিয় ছাত্রনেতা,
পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তরুণ জননেতা ফজল কাদের ভুট্রোর মোরগ প্রতীক গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে,উক্ত ওয়ার্ডের জনসাধারণের সাথে কথা বলে এমন চিত্র ও তথ্য ফুটে ওঠে। আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদন্ধিতা করছেন,তৎমধ্যে তুমুল জনপ্রিয় সাবেক
মেম্বার ফজল কাদের চৌধুরী ভূট্রো মোরগ প্রতীক, যুবদল নেতা জাফর ইকবাল তালা প্রতীক ও অপরজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি, ডজন ইয়াবা,মাদক,দাঙ্গাহাঙ্গামার আসামী সাবেক মেম্বার বকতার আহমদের ছোট ভাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি বহু ইয়াবা মামলার আসামী জাহাঙ্গীর আলম ফুটবল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

৩ জনই ভোটের মাঠে থাকলেও প্রচার-প্রচারণা
,গণসংযোগ,উঠান বৈঠক, পথসভা,হাউস ক্যাম্পেইন, ভোটারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।
এক্ষেত্রে সহ সব মিলিয়ে মোরগ প্রতীকের ফজল কাদের ভুট্রো এগিয়ে রয়েছেন।অপর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম পিছিয়ে থাকলেও,তার ভরসা কোটি-কোটি টাকা বিলিয়ে ভোটারদের অনুকুলে আনবেন।ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়ে বলে বেড়াচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলমের নির্বাচনী ব্যয় বাজেট শুরুতেই দেড়কোটি হলেও এখন নাকি সর্ব নিম্ম ২ কোটি টাকা।জাহাঙ্গীর আলমের ঘোষণা মতে প্রতিদিন ৫ শত কর্মী-সমর্থকের বেতন দিচ্ছেন গড়ে ১ থেকে ২ হাজার টাকা।কিন্তু জাহাঙ্গীর আলমের কালো টাকা খাওয়ার পরও ভোটের মাঠ দখলে নেওয়া দুঃসাধ্য হবে,এমনটাই মনে করছেন সচেতন ভোটাররা।বিপুল ইয়াবার কালো টাকা নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের সাথে স্থানীয় ইয়াবা কারবারিরা একাট্রা হলেও সব কিছু মিলিয়ে ২ নং ওয়ার্ডের ভোটের মাঠ ফজল কাদের ভুট্রোর মোরগ প্রতীকের অনুকুলে রয়েছে।কারণ গত ২০১৬ সালের নির্বাচনে ফুটবল প্রতীকের জাহাঙ্গীর আলমের বড়ভাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি বকতার আহমদ মেম্বার নির্বাচিত হলেও,শপথ গ্রহণের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে আত্নগোপন এবং ঢাকায় ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ সময় কারাগারে ছিলেন।ফলে নাগরিক সেবা নিয়ে ২নং ওয়ার্ডের জনসাধারণ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার আর উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়।

সেসব পরিস্থিতি মনে রেখেই এবারের নির্বাচনে ভোটাররা ফজল কাদের ভুট্রোর মোরগ প্রতীকের প্রতি ভরসা রাখছেন।ভুট্রোর রয়েছে শিয়ালিয়াপাড়া,ঢালার মুখ আর দক্ষিণ পাড়ায় বিশাল ভোট ব্যাংক।স্থানীয় বিচার ব্যবস্থা আর নাগরিক সেবা প্রদান ও উন্নয়ন বাস্তবায়নে ফজল কাদের ভুট্রোই যোগ্য।স্থানীয় ভোটার রহমত উল্লাহ সর্দার বলেন,গত নির্বাচনে জয়ী মেম্বার বকতার আহমদের মেম্বার হিসেবে ২নং ওয়ার্ডে কোন অবদান নেই।সে ইয়াবা মামলায় কারাগার আর আত্নগোপনে থাকার কারণে মেয়াদ শেষ। সাধারণ ভোটার আবু তাহের,হামিদ হোসেন বলেন,এবারের নির্বাচনে মোরগ মার্কা নিয়ে ফজল কাদের ভুট্রোর জয়ের সম্ভাবনা শতভাগ।তাকে ভোট না দিয়ে কাকে দেবো।

মেম্বার প্রার্থী ফজল কাদের ভুট্রো বলেন,২নং ওয়ার্ডের জনগণ গত মেয়াদে বঞ্চিত ছিল।এরপও আমি পাশে ছিলাম।ভোটাররা বুঝে-শুনে ভোট দেবেন,তাতে আমি মোরগ প্রতীক নিয়ে জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।
দেখা যাক ২নং ওয়ার্ডের ১৮১৯ জন ভোটার তাদের প্রিয় প্রার্থীর প্রতীক নির্বাচিত কর জয়ের মালা পরিয়ে দেবেন।
তার জন্য ১১ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।কে হাসছে বিজয়ের হাসি।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার মো.ইরফান উদ্দিন বলেন,অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বদ্ধপরিকর। কোন ধরণের শংকা নেই।নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে ভোটাররা।

সীমান্তবাংলা / ৪ নভেম্বর ২০২১