পলাশে বোরোর বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২২

মো: খায়রুল ইসলামঃ

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় বৈশাখের খরতাপ বাতাসে পাকা সোনালি ধান দোল খাচ্ছে মাঠে মাঠে। পাকা ধানের গন্ধে কৃষকদের মনে এখন বেশ প্রফুল্লতা। পাকা ধান কাটতে হাতে কাঁচি নিয়ে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা অন্য দিকে মাঠ থেকে নতুন ধান বাড়িতে তোলার জন্য আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন কৃষাণীরা।
পলাশ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় হাই ব্রীড, উফশীসহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে। বোরো আবাদের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ হাজার ১৮২ হেক্টর জমি। এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে। যা থেকে ১৭ হাজার ৪৪১ মেঃ টন ধান পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ স্থানীয় কৃষি অফিসের। এবার আবহাওয়ার অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন পেয়ে কৃষক এবার বেশ খুশি।
পলাশের কৃষক মনির হোসেন বলেন, এ বছর ফসলে ব্যপক পোকামাকড়ের আক্রমন হওয়াতে খরচা পরিমাণে বেশি হয়েছে। মাঝামাঝির দিকে খরায় ক্ষতি করলেও শেষের দিকে বৃষ্টি হওয়াতে ধানের খুব উপকার হয়েছে। ফলে অনেক ভালো ফলন হয়েছে। এখন পাকা নিতে ব্যস্ত সময় পার করছি।
কৃষক জহির উদ্দিন বলেন, আমি ৮ বিঘা জমিতে মামুন এবং ৪৯ জাতের ধান লাগিয়েছি। আশানুরূপ ফলনের আশা করছি। উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য না পেলে বরাবরের মতো এবারও ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। তাই নায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবিও জানান তিনি।
পলাশ কৃষি অধিপ্তর কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু নাদের এস এ সিদ্দিকী জানান, আমরা এবার বোরো বাম্পার ফলনের আশা করছি। ঘাম ঝরানো স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলে আনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে এবার কৃষকদের মাঝে পর্যাপ্ত কৃষি উপকরণ, সার ও কিটনাশক সরবারহ করেছি। নিবির পরিচর্যায় বিনিময় এবার বোরো ইরির ফলন অন্য মৌসুমের অনেক বেশি হয়েছে। এবার ধানের বর্তমান বাজার দর ভালো রয়েছে।