নিরপরাধ তৌকিরকে মামলার আসামী করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২১

 

বিশেষ প্রতিনিধি

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়ার একটি পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরপরাধ তৌকির চৌধুরী নামক এক কলেজ ছাত্রকে আসামি করায় এলাকার ছাত্র-যুবক এক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) টেকনাফ সদরের নাজির পাড়ায় পারিবারিক সুত্র ধরে জাহিদ হোছেন এর ছেলে জসিমের সাথে মোহাম্মদ ইউনুছের ছেলে জসিমের সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ায় জাহিদ হোছনের ছেলে জসিম গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়।

সেই ঝগড়া কে কেন্দ্র করে জাহিদ হোছন বাদি হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তৌকিরের মতো নির্দোষ নিরপরাধি মানুষদেরও আসামি করা হয়েছে বলে জানা যায়। সংঘটিত ঘটনাতে যাদের কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই এমন নির্দোষ মানুষদের উক্ত মামলায় আসামী করা হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের মাঝে অন্যতম নিরপরাধ নির্দোষ একজনের নাম তৌকির চৌধুরী। উল্লেখিত তৌকির চৌধুরী টেকনাফ সরকারি কলেজের স্নাতক শ্রেণীর একজন ছাত্র বলে জানা গেছে।

তৌকির চৌধুরী নামক ছাত্র কে উক্ত মামলার আসামী করায় টেকনাফ এলাকার সচেতন ছাত্র যুবকদের মাঝে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত তৌকির চৌধুরীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের প্রতিনিধিদের জানান, গত ২৯ এপ্রিল সংঘটিত ঘটনাটি নেহায়েত পারিবারিক একটি ঘটনা। এই ঘটনায় তার বিন্দু পরিমাণও সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবী করেন। তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে আরো জানান, সে উক্ত সংঘটিত ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে কিনা যাচাই করতে সরজমিন উপস্থিত হয়ে তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে এলাকার সচেতন মহল আমাদের প্রতিনিধিকে তৌকির সম্পর্কে জানান, তৌকির নিরপরাধ নির্দোষ একজন ছেলে। তাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে উক্ত মামলার আসামী করা হয়েছে বলে মনে করেন। কারণ তৌকির টেকনাফ অঞ্চলের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তার নানা মৃত হাজী ছিদ্দিক আহাম্মদ দীর্ঘ ৪৮ বছরের চেয়ে বেশী সময় প্রবাসে ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পরে তার মা ওয়ারিশ সুত্রে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়। পৈত্রিক সূত্রেও কোটি টাকার সম্পদের অংশীদার হয় তৌকির।

এদিকে ঘটনার পর থেকে মামলার বাদী তৌকিরের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে কথা বলার একটি রেকর্ডকৃত অডিও ক্লিপ আমাদের হাতে এসেছে। এই অডিও ক্লিপটিতে বাদী নিজে স্বীকার করেন তৌকির নির্দোষ। এক পর্যায়ে বাদী এলাকার যেকোন প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপে পড়ে তৌকিরকে এই মামলার আসামী করা হয়েছে বলে অডিও রেকর্ড করা ক্লিপে দুজনের কথোপকথন শুনে একপ্রকার নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সেই সুবাদে তৌকির এলাকায় কোন অবৈধ কারবারে বা কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকেনা। এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ডনদের তা দেখে খারাপ লাগে। তৌকির একাধারে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান আবার শিক্ষা দীক্ষায় অনগ্রসর এলাকার ছেলে হয়েও লেখা পড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। এক কথায় তৌকিরের মাঝে কোন প্রকারের বখাটেপনা নাই বললেই চলে । তাতে এলাকার কিছু ইয়াবা ডনদের চক্ষুশূল হয়ে যায় ভদ্র নম্র তৌকির চৌধুরী। অনেক দিন আগে তৌকিরের একমাত্র মামা আক্তার ফারুককে এলাকার কিছু খারাপ চরিত্রের মানুষের যোগসাজশে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। আক্তার ফারুকের অপরাধও একই।

মামলার বাদী এবং তৌকিরের বলা মুঠোফোনে রেকর্ডকৃত কথা শুনলে বুঝা যায় তৌকির একটি দুষ্ট চক্রের প্রতিহিংসার শিকার। ২৯ এপ্রিলে সংঘটিত ঘটনার পর থেকে মামলার বাদী সাথে তৌকিরের মুঠোফোনের মাধ্যমে বলা কথার একটি রেকর্ডকৃত অডিও ক্লিপ আমাদের হাতে এসেছে। এই অডিও ক্লিপটিতে বাদী নিজে স্বীকার করেন তৌকির নির্দোষ। এক পর্যায়ে বাদী এলাকার যেকোন প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপে পড়ে তৌকিরকে এই মামলার আসামী করা হয়েছে বলে অডিও রেকর্ডে দুজনের কথোপকথন শুনে একপ্রকার নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এলাকার সচেতন মহলের অভিমত হল তৌকির চৌধুরী সীমান্ত জনপদে জন্ম নিয়েও কেন এলাকার অন্যান্যদের মতো ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত নাই। এটাই হল তৌকিরের মূল অপরাধ এমনটাই জানিয়েছেন তৌকিরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। তবে তিনি আশাবাদী বলে জানিয়েছেন কারণ টেকনাফ মডেল থানার বর্তমান পুলিশ সততার ভিত্তিতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। সেই সুবাদে তৌকিরের বিরুদ্ধে করা মামলাটির তদন্তে আসল সত্যতা বেরিয়ে আসবে এবং তৌকির মামলার অভিযোগপত্র থেকে বাদ যাবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

এদিকে মামলার বাদীর সাথে একাধিকবার তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে সংযোগ না পাওয়াই বাদীর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

টেকনাফ উপজেলা ছাত্র-যুবকেরা করোনা পরিস্থিতি না হলে মানব বন্ধন প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের কাছে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রতিবাদ সভা মানব বন্ধন না করে শুধুমাত্র গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে এই জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

তারা টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের কাছে দাবী জানান, ২৯ এপ্রিলে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়াতে পারিবারিক বিষয়ে যে ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সেই ঘটনার নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে অবিলম্বে টেকনাফ কলেজের ছাত্র তৌকির সহ যারা নির্দোষ তাদের এই মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছেন এবং মামলার বাদী কার চাপে তৌকিরকে আসামী করতে বাধ্য হয়েছেন বলে ফোনে জানিয়েছেন সেই ব্যক্তিটি কে? খুঁজে বের করে সেই চাপ প্রয়োগকারী ব্যক্তিকেও আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।

সীমান্তবাংলা / এ শ / ৮ মে ২০২১