নিজের জন্মদিন উদযাপনের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর ‘না’

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২০

সীমান্ত বাংলা ডেস্ক : আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন। করোনাকালে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেয়ার সময় সীমিত পরিসরে সভানেত্রীর জন্মদিন উদযাপনের প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কিন্তু সেই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা এমন প্রস্তাব পেয়ে বলেন, ‘আমার জন্মদিন পালনের প্রস্তাব আমি গ্রহণ করছি না।’ওবায়দুল কাদের সভার কার্যক্রম সম্পর্কে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।সভার শুরুতে ভারতের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির প্রয়াণে শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয়। এরপর সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

সভায় দলীয় সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আমাদের সভাপতির একটা গাইডলাইন চাই। আমরা নিজেরা কিছু বিষয় আলোচনা করেছি। এর মধ্যে রয়েছে- আমাদের যেসব জেলা, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে তাদেরকে আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে আপনার অফিসে (সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, ধানমণ্ডি) পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আরেকটি হলো, এই সময়ের মধ্যে প্রত্যেক সম্পাদককে চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট উপ-কমিটি গঠনের রিকমেন্ডেশন তৈরি করেছি, সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক আপনি।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা এখন থেকে সীমিত আকারে সাংগঠনিক কর্মসূচি পালনের জন্য তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত একটি নির্দেশনা দিচ্ছি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আপনার জন্মদিন। এটা আমরা খুব সীমিত আকারে পালন করবো। এটা প্রতিবছরই করে থাকি। আপনি না বললেও করবো।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার জন্মদিন পালনের প্রস্তাব আমি গ্রহণ করছি না। বাকিগুলোর মধ্যে সাব-কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার সিদ্ধান্ত খুবই ভালো। এটা করা উচিত। যাতে সাব-কমিটিগুলো বসতে পারে। আগামী দিনে আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি সেগুলো ঠিক করতে হবে। সাব-কমিটিগুলো এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে।

(ঢাকাটাইমস/২সেপ্টেম্বর/এড‌মিন ই যা‌য়েদ)