নরসিংদীর রায়পুরায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২২

মো: খায়রুল ইসলাম :
নরসিংদীর রায়পুরায় মো. জাফর ইকবাল নামের এক ইউপির চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে রায়পুরার মির্জারচর ইউনিয়নের শান্তিপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বিকেল পাঁচটার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মো. জাফর ইকবাল (৫০) রায়পুরার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল মির্জারচর ইউনিয়নের বালুরচর এলাকার মৃত মোতালিব ফকিরের ছেলে। তিনি মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সঙ্গে মির্জারচর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি।

কেন মো. জাফর ইকবালকে গুলি করে হত্যা করা হলো, এ বিষয়ে তাঁর কর্মী-সমর্থক ও পরিবারের সদস্যদের কেউ কিছু বলতে পারছেন না। তবে তাঁদের ধারণা, মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।

জাফর ইকবালকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তিনি বুকের বাঁ পাশে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।
আসাদ আব্দুল্লাহ খান, জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক,
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, বিকেলে একটি সভা শেষে ইউপির চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল শান্তিপুর বাজারের স্কুলমাঠ–সংলগ্ন স্থানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে কে বা কারা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত নরসিংদী সদর হাসপাতালে রওনা হন। একটি নৌকায় তুলে মেঘনা নদী পার হয়ে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে তাঁকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসাদ আবদুল্লাহ খান বলেন, ‘জাফর ইকবালকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তিনি বুকের বাঁ পাশে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।’

এ সময় জাফর ইকবালের স্ত্রী-সন্তানসহ শত শত মানুষ নরসিংদী সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁর স্ত্রী মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘এক ব্যক্তির সঙ্গে নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কারণে ছয় থেকে সাত বছর ধরে আমার স্বামীর দ্বন্দ্ব ছিল। এলাকায় ওই ব্যক্তি সব সময় পিস্তল নিয়ে ঘোরেন। একমাত্র তিনিই এলাকার ভেতরে এ কাজ করে থাকতে পারেন বলে আমার ধারণা।’

রায়পুরা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, ‘কে বা কারা জাফর ইকবালকে গুলি করে পালিয়ে গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। কী কারণে তাঁকে গুলি করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। আমরা দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত শুরু করেছি। দ্রুতই তারা গ্রেপ্তার হবে।’