নরসিংদীর মনোহরদীতে সড়কের পাশে বর্জ্যের স্তূপ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২

মো: খায়রুল ইসলামঃ
নরসিংদীর মনোহরদী কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের পাশে ব্যস্ত সড়কে বর্জ্যের স্তূপে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী ও শিক্ষার্থীরা। এতে স্থানীয় প্রশাসন জরিমানার নোটিশ টানালেও তা মানছেন না কেউ। ফলে সেখানে ময়লা ফেলাও বন্ধ হয়নি।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভাগাড়টি অপসারণে কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর ভূমিকা দেখা যায়নি। কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, এখানে ময়লা ফেলা রোধে কলেজের উদ্যোগে রাত্রিকালীন একটি পাহারা বসানো হয়। তথাপি এখানকার ময়লা-আবর্জনা ফেলা রোধ করা যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে হাতে লেখা একটি নোটিশ টাঙিয়ে সেখানে ময়লা ফেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নোটিশের আদেশ অমান্যকারীর ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ হয়নি, এ জন্য জরিমানা করার কোনো নজিরও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, উপজেলার অফিসপাড়ার ব্যস্ত সড়কের পাশে কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের প্রবেশপথে গড়ে ওঠে এই আবর্জনার স্তূপ। উপজেলা পরিষদের ভাঙা সীমানা প্রাচীরের ভেতর জনসমক্ষে এই আবর্জনার স্তূপের কারণে পথচারী ও জনসাধারণের দুর্ভোগ-দুর্দশা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস-মনোহরদী কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের একটি মাত্র প্রবেশপথের মুখে গড়ে ওঠা এই আবর্জনার স্তূপে এখানকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। হেঁটে কিংবা যানবাহনে করে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধের কারণে নাকে-মুখে রুমাল চাপতে হয়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিদিনই তাঁদের এই দুর্গন্ধযুক্ত ময়লার জায়গাটুকু পাড়ি দিতে হয়। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এখানে ময়লা ফেলে জায়গাটিকে ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব এই অবস্থা থেকে মুক্তি চান।

মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম কাসেম বলেন, নোটিশের বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে এখানকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয় নিয়ে মনোহরদী পৌর মেয়রের সঙ্গে ইতিপূর্বেই তাঁর আলোচনা হয়েছে এবং তাঁকে জানিয়েছেন, একটি বড় প্রকল্পের আওতায় মনোহরদী পৌর এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হবে। সেটিতে এখানকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও থাকছে।