দুধের ছানা তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে গরুর পঁচা ভুঁড়ি!

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০১৯

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় দুধের ছানা তৈরিতে গরুর পঁচা ভুঁড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে আবদুল মমিন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

অভিযোগে জানা যায়, কানসাট ইউনিয়নের পার কানসাট কলকলিয়া ব্রিজের পাশে একটি অসম্পন্ন বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে কারখানা করে এভাবে ছানা তৈরি করেন আবদুল মমিন। তিনি মোবারকপুর টিকরি গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কারখানার ভেতরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বালতির ভেতর নোংরা পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে কিছু গরুর ভুঁড়ি, যার গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে।

বৃহস্পতিবার ছানা কারখানায় প্রক্রিয়াকরণের কাজে নিয়োজিত ও বেতনভুক্ত ব্যবস্থাপক মুকুল আলী জানান, প্রায় ছয় মাস ধরে এই কারখানায় বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করছি। শুরু থেকেই ছানা তৈরির কাজে গরুর ভুঁড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। খাবারের সঙ্গে এমন নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পঁচা গরুর ভুঁড়ি ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

তিনি জানান, কারখানার মালিক আবদুল মমিনের নির্দেশ মোতাবেক তিনি ছানা তৈরি করে থাকেন।

শিবগঞ্জ উপজেলা স্যানিটেশন ইন্সপেক্টর নিতাই চন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দুধের ছানার সঙ্গে গরুর ভুঁড়ি মিশ্রিত করা সম্পূর্ণ অবৈধ। আমাদের চোখের আড়ালে এমন কারখানা পরিচালনা হচ্ছে। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ছাড়া উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৫ ইউনিয়নে একজন করে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত থাকার পরও এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে অথচ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

অন্যদিকে খবর পেয়ে স্যানিটেশন ইন্সপেক্টর নিতাই চন্দ্র, থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

আবদুল মমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ছানা ফাটানোর জন্য সাধারণত টকজাতীয় তরল পদার্থ ব্যবহার করা হয়। তিনি ভুঁড়ি পচিয়ে তরল পদার্থ তৈরি করে ছানা ফাটানোর জন্য ব্যবহার করেন।

তবে নিজের ত্রুটি স্বীকার করে তিনি জানান, গত বুধবার থেকে তিনি ফিটকিরি ও লেবুর রস ছানা তৈরিতে ব্যবহার করছেন।