দুই ছাত্রীকে কোদাল দিয়ে পেটানোর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঈনুল হক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের কোদালের আঘাতে দুই ছাত্রী গুরুতর আহতের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমাকে তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।

এদিকে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী উপাধ্যক্ষ আফরোজা পারভীনের অপসারণ দাবিতে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) কলেজে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীর অপসারণ দাবি করে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় কলেজ পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন।

রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, দুই ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এর আগে এইচএসসির টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় কোদাল দিয়ে দুই ছাত্রীকে গুরুতর আহত করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- সদর উপজেলার সাখাইতি গ্রামের মৃত মহর উদ্দিনের মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাছলিমা খানম (১৯) এবং মাগুরা গ্রামের প্রবাসী মইনউদ্দিনের মেয়ে নাইমা বেগম (১৮)।

আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার জন্য মঈনুল হক ডিগ্রি কলেজে টেস্ট পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় প্রায় ৬০ জনের মতো শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। এতে ওই ৬০ জন শিক্ষার্থীকে অধ্যক্ষ ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে জানালে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কাছে অকৃতকার্যের বিষয়টি বিবেচনা করে তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়ার অনুরোধ করে। এ সময় অধ্যক্ষ মতিউর রহমান মাঠে থাকা কোদাল ও শাবল দিয়ে দুই ছাত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।