জামাত বিএনপির ঠাঁই বঙ্গবন্ধুর বাংলায় নাই

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩

কক্সবাজারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকীতে কেন্দ্রীয় নেতারা

এন আলম আজাদঃকক্সবাজার

দেশের প্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম ধারক বাহক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উৎযাপন করেছে সংগঠনটির অন্যতম সহযোগী আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগ কক্সবাজার জেলা।


এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ১৮ মার্চ বিকেল ৩ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এর পূর্বে সকালে দলীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলিত হয়।পরে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতীর জনককে স্মরণ করা হয়।এসব কর্মসূচিতে মৎস্যজীবীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা সাড়ম্বরে যোগ দেন।বিকেলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকীর কেক কাটা হয়।সভাশেষে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে আনন্দ মিছিল সহকারে প্রদক্ষিণ হয়।


এতে সভাপতিত্ব করেন সস্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মোঃ সেলিম।
সদস্য সচিব দুলাল কান্তি দাশের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আজিজুল হক চৌধুরী।প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্রগ্রাম বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য সচিব এম এ গফফার কুতুবী।জেলার নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এন আলম আজাদ,আবদুল হক,আমান উল্লাহ আমান,নুরুল কবির বাঙালি, অধ্যাপক শাহ নিজাম চৌধুরী,কাওসার সিকদার,আবু তালেব,শফিকুর রহমান,নাছির উদ্দীন,আবদুল হান্নান, মোঃ আজিজুল হক,কক্সবাজার পৌরসভার সভাপতি ফোরকান আজাদ,সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন জনি যুগ্ন সম্পাদক মহিউদ্দিন আজাদ, নয়ন কান্তি দাস, শাহিন,টেকনাফের আবদু সালাম, সাধারণ সম্পাদক জসিমউদদীন চৌধুরী,মোঃ তৈয়ব চৌধুরী,উখিয়ার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ নুরুল কাদের,এস এম আব্বাস উদ্দিন জয়,রামুর মিয়া হোসেন, মোঃ হোসেন,টাপু বডূয়া,আমিনুল কবির,হাবিবুল্লাহ, নজিবুল্লাহ,আমান উল্লাহ,পেকুয়ার সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ছিব্বির, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মালেক,মহেশখালীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাষ্টার এলাহাত,সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান,ছিদ্দিক মিয়া,ঈদগাহের নাছির উদ্দীন,সোনা মিয়া মহেশখালীর হোয়ানকের বশির বদ্দার প্রমুখ নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি আজিজ চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন,বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন বাংদেশের জন্ম হত না তেমনি আওয়ামীলীগ না হলে এদেশ পাকিস্তানের গোলামী থেকে রক্ষা পেত না।বঙ্গবন্ধু মুজিব তার রেসকোর্সের ভাষণে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর ঘোষণা না দিলে স্বাধীন পতাকা ও রাষ্ট্র কোনক্রমেই পাওয়া যেত না।তিনি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে অভিযোগ করে বলেন,স্বাধীনতা বিরুধী অপশক্তি এসব করছে।আর তাতে ইন্ধন যোগাচ্ছে দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু সংখ্যক সুবিধাবাদী।তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন,প্রশাসনের অভ্যন্তরেও এমন কীট রয়েছে। তিনি তাদের কঠোর হস্তে দমনে সংগঠনের নেতাকর্মীদের সার্বক্ষনিক প্রস্তুুত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন,আগামী ঈদ পরবর্তী কক্সবাজার জেলা মৎস্যজীবীলীগের সফল সস্মেলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের হাতেই কক্সবাজারের ঝান্ডা তুলে দেয়া হবে।কোন চাটুকার হাইব্রিড আপন শক্তি জাহিরকারীদের স্থান শীর্ষ পদে হবে না।

প্রধান বক্তা এম এ গফফার কুতুবী বলেন,বঙ্গবন্ধু কে জানতে হলে তাঁর লিখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী লিখনিটি পড়তে হবে।তবেই বাঙালি জাতি জানতে পারবে টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার ইতিহাস।তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের জননেত্রী শেখ হাসিনার যে কোন আহবান সফল করতে প্রস্তুতির তাগিদ দিয়ে বলেন,আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে বিরোধী শক্তি নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।তাদের সেই অপতৎপরতা রুখতে কক্সবাজার জেলা মৎস্যজীবীলীগের ভূমিকা হবে সারাদেশে রোলমডেল।এভাবেই ঐক্যতার সুরে আগামীর সস্মেলন সফল করার তাগিদ দেন দক্ষিণ চট্টলার এই শীর্ষ নেতা।

এদিকে অভিভাবক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জেলা আওয়ামীগের নানা কর্মসূচিতে যোগদেন সহযোগী সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও সহযোগী সংগঠনটির নানা কর্মসূচি উৎযাপনের খবর পাওয়া গেছে।