জাতীর জনকের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বিএমএসএফ উখিয়া শাখার শোক প্রকাশ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১

প্রেস বিজ্ঞপ্তি;
আজ অশ্রুভেজা শোকাবহ ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের রক্তঝরা এই দিনে রাষ্ট্র হারায় তার স্থপতিকে। জাতি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে আর আমরা হারিয়েছি আমাদের শ্রেষ্ঠ নেতাকে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে অমানিশার অন্ধকারে ঢেকে যায় গোটা বাংলাদেশ। ভোরের আলো ফোটার আগেই ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে রচিত হয় ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়।

পঁচাত্তরের এই দিনে শুধু তিনিই নন, স্ত্রী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন পুত্র- শেখ কামাল, শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল ও সহোদরসহ মোট ২৬ জন আত্মীয়-পরিজন নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন। একাত্তরের পঁচিশে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ঘটনার সঙ্গে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মধ্যরাতের এই বর্বর হত্যাকান্ডই তুলনীয় হতে পারে। যেখানে নারী-শিশুসহ নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হয়। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনায় আস্থাহীন দেশীয় কিছু রাজনীতিকের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বঙ্গবন্ধু নৃশংসভাবে শহীদ হন সেই কালরাতে। তবে প্রবাসে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

১৫ আগস্টের নির্মম সেই হত্যাযজ্ঞে আরো নিহত হন বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, শিশু পৌত্র সুকান্ত বাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, নিকটাত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

এমন নির্মম হত্যাকান্ডের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) উখিয়া উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরা জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সেই কালো রাতে হত্যাকান্ডের শিকার সকল শহীদদের  গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। এবং সকল শহীদদের পরিবারের প্রতি গভীর সমব্যদনা প্রকাশ করেন।

সীমান্তবাংলা / ১৫ আগষ্ট ২০২১